২০২২ সালের জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হয়েছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিল। তবে ওই বিলে সই করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে তালমিলের ছবি সামনে আসার পর অনেকেই মনে করেছিলেন, ওই বিলে হয়তো রাজভবনের সম্প্রতি মিলবে! কিন্তু তা হলনা ! রাজভবন সূত্রের খবর, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিলে সই তো দূর অস্ত, ওই বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালেন বোস। যার জেরে রাজ্য-রাজ্যপালের মধ্যে অতীতের সংঘাতের আবহ আবার ফিরল কিনা, তা নিয়েও নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
পদাধিকার বলে রাজ্যের সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল।
গত ২০২২ সালের জুনে বিধানসভায় ‘পশ্চিমবঙ্গ বেসরকারি বিশ্ববিদ্য়ালয় আইন (সংশোধনী) ২০২২’ বিলটি পেশ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ওই বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিজিটর পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে সেখানে শিক্ষামন্ত্রীকে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।যদিও ওই বিলের বিরোধিতা করে সেদিন বিধানসভা ওয়াকআউট করেছিলে পদ্মশিবির। সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে বিরোধীশূন্য বিধানসভায় পাশ হয়েছিল এই বিল। বিল পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। হঠাৎই মতবিরোধ ভুলে সম্প্রতি রাজ্য ও রাজ্যপালের সম্পর্কের উন্নতি দেখা গিয়েছিল। গত বছরের শেষে বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাতে রাজ্যপাল যেমন বিধানসভায় গিয়েছিলেন তেমনই রাজভবনের চায়ের আমন্ত্রণে যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এদিন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিলটি রাজভবনের তরফে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর খবর সামনে আসতেই ফের রাজ্য বনাম নবান্নের সংঘাতের আবহ দেখছেন অনেকে। যদিও এ ব্যাপারে রাজ্য বা রাজভবনের অফিসিয়ালি কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পদাধিকার বলে রাজ্যপালই উপাচার্য। সারা দেশে এটাই নিয়ম। বাংলা সেই নিয়মে বদল আনতে চাইলে হবে কেন? সম্ভবত, সেকারণেই বিলে সম্মতি দেননি রাজ্যপাল।” পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “রাজ্যপাল যে নিরপেক্ষ আচরণ করছেন না, এটা সকলেরই জানা। এটা নিয়ে নতুন কী আর বলার থাকতে পারে।”