করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল ভারতবাসী এবং তার প্রকোপ থেকে বাদ যাচ্ছে না কোন রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী তাই এই অতিমারির মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার দু’সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা করলো। মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার নবান্নে লকডাউন কথা ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, রবিবার সকাল ছ’টা থেকে ৩০শে মে পর্যন্ত সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান (জরুরী পরিষেবা ব্যাতীত, যেমন-টেলিকম পরিষেবা,সংবাদমাধ্যমের অফিস, স্যানিটাইজেশন বিভাগ,বিদ্যুৎ পরিষেবা,ইন্টারনেট,আদালত পানীয় জলের পরিষেবা) বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে সকল স্কুল-কলেজ-অঙ্গনবাড়ি।
শপিং মল,রেস্টুরেন্ট,জিম,বিউটি পার্লার,সুইমিংপুল এগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি। কেবলমাত্র সবজি-ফল-মুদিখানা-দুধ ও মাংসের দোকান এবং খুচরা দোকান সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে তার সঙ্গে সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মিষ্টির দোকানও।
পরিবহনের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ থাকছে যেমন লোকাল ট্রেন,বাস পরিষেবা,লঞ্চ পরিষেবা,মেট্রো এগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। রাজ্যের খাদ্য সামগ্রী ট্রাক বা বাহন ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরো জানান রাত ন’টা থেকে সকাল পাঁচটা পর্যন্ত বাইরে বেরোনো অর্থাৎ সমস্ত আউটডোর মুভমেন্ট (জরুরী পরিষেবা ব্যতীত) নিষেধ। যদিও ব্যাংক এবং এটিএম পরিষেবা সকাল ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত চালু থাকবে। চালু থাকবে সমস্ত পণ্যের হোম ডেলিভারি ও ই-কমার্স পরিষেবা।
নিষিদ্ধ থাকছে সমস্ত রাজনৈতিক,ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক,শিক্ষাগত জামায়েত। কেবলমাত্র বিবাহ অনুষ্ঠানে একসঙ্গে অনূর্ধ্ব ৫০জন মানুষ এবং সৎকার অনূর্ধ্ব ২০জন মানুষ থাকতে পারবেন। যদিও খোলা থাকবে পেট্রোল পাম্প, অটো রিপেয়ারিংয়ের দোকান। শুধু তাই নয় প্রতি সিফটে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চা-বাগান এবং জুট মিলে প্রতি সিফটে ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চলবে।