• facebook
  • twitter
Sunday, 30 March, 2025

বেশি ছাড়ে কীভাবে ওষুধ বিক্রি? জানতে চাইল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ

রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে নামী ও জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের জাল ওষুধ উদ্ধারের পর তৎপরতা বাড়িয়েছে ডাইরেক্টরেট অফ ড্রাগ কন্ট্রোল (পশ্চিমবঙ্গ)।

প্রতীকী চিত্র

রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে নামী ও জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের জাল ওষুধ উদ্ধারের পর তৎপরতা বাড়িয়েছে ডাইরেক্টরেট অফ ড্রাগ কন্ট্রোল (পশ্চিমবঙ্গ)। এই বোর্ডের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, ওষুধের শিশি বা স্ট্রিপ সন্দেহজনক বলে মনে হলে তৎক্ষণাৎ অভিযোগ জানাতে পারবেন আমজনতা। পাশাপাশি দীর্ঘদিন খাওয়ার পরে যদি ওষুধ কাজ না করে সেক্ষেত্রেও অভিযোগ জানানো যাবে। ফোন করে ওষুধ সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এর জন্য দুইটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। ফোন নম্বর দুটি হল ২২২৫-২২১৩, ২২২৫-২২১৪। এছাড়াও tellddcwb@rediffmail.com এই ঠিকানায় ইমেল করেও অভিযোগ জানাতে পারবেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। অপরদিকে, রাজ্যের যে সমস্ত খুচরো ওষুধ বিক্রেতা কুড়ি শতাংশ অথবা তার থেকেও বেশি ছাড়ে ওষুধ বিক্রি করে তাঁদের প্রত্যেককে চিঠি দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। কীভাবে তাঁরা এত ছাড় দিচ্ছেন তা ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

বিগত কয়েক মাসে ব়্যানোজেক্স, টেলমা এইচ সহ ৩০০টির বেশি জীবনদায়ী ওষুধ ল্যাবরেটরিতে গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সংস্থার ওষুধ রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সব ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশিকা জারি করেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, গুণমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি এরকম ওষুধগুলি যেন বিক্রয় করা না হয়। অবিলম্বে রাজ্যের প্রতিটি ওষুধের দোকানে নট স্ট্যাযন্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগের তালিকা ঝোলাতে বলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। দোকানগুলি সেই নির্দেশ পালন করছে কি না তা দেখতে সারপ্রাইজ ভিজিট করবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড।

জাল ওষুধের এই রমরমার মধ্যে অনেকের প্রশ্ন, বেশি ডিসকাউন্টে ওষুধ বিক্রি করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটছে কি না। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে রাজ্যের যে সমস্ত খুচরো ওষুধ বিক্রেতা কুড়ি শতাংশ অথবা তার থেকেও বেশি ছাড়ে ওষুধ বিক্রি করে তাঁদের প্রত্যেককে চিঠি দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। তালিকায় রয়েছে অনলাইনের সংস্থাগুলিও। তারা কীভাবে এত বেশি ছাড় দিচ্ছেন তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে এই সব সংস্থাকে চিঠির জবাব দিতে বলেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ।

রাজ্যের সমস্ত ওষুধ বিক্রেতাদের বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অজানা, অচেনা জায়গা থেকে যেন ওষুধ কেনা না হয়৷ কোম্পানির নিজস্ব এজেন্ট, ডিস্ট্রিবিউটর ও স্টকিস্টদের মাধ্যমেই ওষুধ কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওষুধ বিক্রেতা সংগঠনগুলির অভিযোগ, ভিন রাজ্যের জাল ওষুধ বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরা বাংলার খুচরো ওষুধ বিক্রেতাদের বিপুল ছাড়ে ওষুধ বিক্রির প্রস্তাব দিচ্ছে। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন রাজ্যের বহু ওষুধ ব্যবসায়ীরা। এর ফলে বেশি ছাড়ে ওষুধ কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষও।