এই প্রথম এত বিপুল সংখ্যক রােগী করােনায় আক্রান্ত। এক লক্ষেরও বেশি রােগীর দেহে সক্রিয় রয়েছে করােনা। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা এই প্রথম ১৬ হাজারের গণ্ডী পার করল। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করােনায় মারা গিয়েছেন ৭৩ জন।
কলকাতায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে টানা তিনদিন কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ভয় বাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৭৩ জন করােনা রােগীর মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে।
কলকাতারই বাসিন্দা ২৪ জন। ১৩ জন মারা গিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। হাওড়ায় ৮, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬, জলপাইগুড়ি, মালদা এবং হুগলিতে ৪ জন করে করােনা রােগীর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম ও পুরুলিয়ায়। ২ জন করে মারা গিয়েছেন।
দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ১ জন করে করােনা রােগীর মৃত্যু হয়েছে। হাওড়ায় এক চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁর মৃত্যু হয়েছে সােমবার। প্রশান্ত মুখােপাধ্যায় নামে ওই রােগবিশেষজ্ঞের মৃত্যুতে এলাকায় শােকের ছায়া নেমে এসেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার এরাজ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯.৬৭ শতাংশ। মােট সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ৭,৫৬ শতাংশ, যা এখনও সর্বোচচ । টিকা দেওয়া হয়েছে সােমবার ৩০ হাজারের কিছু বেশি মানুষকে।
তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় তা অনেকখানি বেড়েছে। ২,৬১,২৪৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এরপর উত্তর ২৪ পরগনা (৩,৪৫১), হাওড়া (৯৩১), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৯১৯), হুগলি (৮৪৩), পশ্চিম বর্ধমান (৮৬২), বীরভূম (৭৮৮), পূর্ব বর্ধমান (৫৪৩) এবং পূর্ব মেদিনীপুর (৫২৮)।
এদিকে, করােনা সংত্রমণ ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যােগাযােগকারী রাস্তায়। ওড়িশার দিক থেকে বেড়া দেওয়ার অভিযােগ উঠল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ওড়িশা সীমান্তবর্তী এলাকার বহু জায়গায় এমনটা করা হয়েছে বলে অভিযােগ উঠেছে।
যদিও গ্রামীণ এলাকায় সাময়িকভাবে রাস্তা বেড়া দিয়ে বন্ধ রাখা হলেও হতে পারে, এমনটা বলছে প্রশাসন। তবে, ওড়িশার সঙ্গে সড়কপথে যােগাযােগ অব্যাহত রয়েছে জানিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।