নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন প্রার্থীরাও অংশ নিতে পারবেন, নাকি শুধু চাকরিহারারা? এই বিষয়টি এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)–র কাছে। এ নিয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছে এসএসসি। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত মজুমদার। তিনি আরও জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বার্তা এসেছে সরকারের তরফে। তবে তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার এসএসসির ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করে চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পদক্ষেপ গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার এ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সরকারের তরফে বার্তা এসেছে। এই নিয়ে আলোচনা চলছে। আইনি পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দুই–এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
এসএসসির চেয়ারম্যান জানিয়ে দিয়েছেন, তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। কেন তা সম্ভব নয় সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। সিদ্ধান্তবাবু জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিন মাসের কথা উল্লেখ নেই। পাশাপাশি এটি একটি বড় প্রক্রিয়া। মাত্র তিন মাসের মধ্যে এত বড় নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব নয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে, যাঁরা অযোগ্য বলে চিহ্নিত নন তাঁদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হবে। বয়সের ক্ষেত্রেও তাঁরা খানিকটা ছাড় পাবেন। কিন্তু এই মুহূর্তে প্রক্রিয়া শুরু সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে বেশ কিছু সংশয় রয়েছে। নতুন প্রার্থীরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন কি না তা এখনও এসএসসির কাছে স্পষ্ট নয়। সেই কারণে আইনি পরামর্শ নিয়ে তারপরেই নিয়োগের কাজ শুরু হবে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, চাকরিহারাদের মধ্যে যে সকল ব্যক্তি এর আগে অন্য কোনও সরকারি দপ্তরে চাকরি করতেন তাঁরা আগের পদে ফিরে যেতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এসএসসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এসএসসির কাছে এই সংক্রান্ত তথ্য আছে কি না তা দেখতে হবে। এটা চাকরিহারারাই ভালো বলতে পারবেন। সেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই পুরনো পদে ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন জানাবেন। এর জন্য প্রয়োজন পড়লে সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি করা যেতে পারে।