শ্রীলেখার ব্রিগেড সাজ

শ্রীলেখা মিত্র (Photo: Twitter | @NilanjanDas_ & @CPIM_WESTBENGAL))

মধ্যমায় সাদা নেলপলিশের উপর লাল কাস্তে হাতুড়ি। মাথায় টুপি, চোখে বড় ফ্রেমের রােদ চশমা, সাদা টি শার্ট, নীল জিনস। এটাই ছিল অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার পােষাক। আর ফেসবুকে যখন শ্রীলেখা মিত্র তার এই ব্রিগেড সাজ পােস্ট করেন তখন নেটিজনদের একাংশের মধ্যে তুমুল শােরগােল পড়ে যায়। 

প্রশ্ন ওঠে বামফ্রন্টের চিহ্ন কেন মধ্যমায়। এই নিয়ে এক সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে শ্রীলেখার সাফ জবাব, ইচ্ছে করেই। এবার এর থেকে যে যা খুশি মানে করতে পারেন। 

এর আগে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা জানিয়েছিলেন, প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গেই তিনি যুক্ত নন। সেভাবে কোনও অনুষ্ঠানেও যান না তিনি। তবে হঠাৎ ব্রিগেড কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রীলেখার জবাব, সমস্ত গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রি তাে দু ভাবে বিভাজিত হয়ে গিয়েছে, সিপিআইএম এর তাে কোনও গ্ল্যামার নেই। আমিই একটু গ্ল্যামার বাড়াই। তবে আমি তাে শুধুই গ্ল্যামার নই, আমার একটু বুদ্ধি বিবেচনা, নীতি বােধ, একটা আদর্শ রয়েছে। এই আদর্শ দিয়ে এতকাল বেঁচেছি এবং আগামীতেও বাঁচব। আমি আমার জীবনটা দিয়ে প্রমাণ করতে চাই যে সবাই বিক্রি হয় না। কারা মানুষের রাজনীতিতে এসেছেন আর কারা নিজেরটা গােছাতে এসেছেন তা মানুষ তাে জানেন। ইন্ড্রাস্ট্রি থেকে আমিই এদের সমর্থক হয়েছি। যারা সমর্থন করবে ভেবেছিলাম তারা শেষ মুহুর্তে পাল্টি খেয়েছে। আমার মনে প্রাণে লালদূর্গ, তাই এই সময়ে এদের পাশে থাকা দরকার। না হলে মানুষ হতাশ হয়ে পড়বে। 


আগেও অবশ্য শ্রীলেখা মিত্রকে রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বা পালাবদল নিয়ে সােজাসাপটা কথা বলতে শােনা গিয়েছে। এর আগে শ্রীলেখাকে যেমন সেলিব্রিটিদের সেল বলে যেমন কটাক্ষ করতে শােনা গিয়েছে তেমনই অভিনেত্রী সায়নী ঘােষের তৃণমূলে যােগদানকে তিনি বিক্রি হয়ে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করে তীব্র নিন্দাও করেছেন। এবারও তিনি মধ্যমায় বামফ্রন্টের চিহ্ন এঁকে আবারও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।