কোভিড সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে বিধানসভার যাবতীয় কমিটির বৈঠকগুলি অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের হাজিরা কমিয়ে কাজকর্ম চলছে স্পিকারের দফতর ও বিধানসভার সচিবালয়ে। প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে কিংবা ফেব্রুয়ারিতে বসে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন।
নতুন বছরের প্রথম মাসের শেষ সপ্তাহ শুরু হতে আর খুব বেশি বাকি নেই। কিন্তু এখনও বাজেট অধিবেশন নিয়ে রাজ্য সরকার কিছুই জানায়নি বিধানসভাকে। তাই বাজেট অধিবেশন কবে হবে, তা নিয়ে ধন্ধে বিধানসভার আধিকারিক থেকে কর্মিমহল।
শুধু বিধানসভাই নয়, রাজ্য প্রশাসনও বাজেট অধিবেশন কবে হবে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই। কারণ ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখে চার পুরসভার ভোট। ২৭ তারিখে ১১২ টি পুরসভার ভোট হবে বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
মাস জুড়ে ভোটের কর্মসূচি থাকায়, রাজ্যে মন্ত্রী ও বিধায়করা ব্যস্ত থাকবেন পুরসভার নির্বাচন নিয়ে। তাই এমতাবস্থায় ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেট অধিবেশন কবে হবে, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে।
বিধানসভার একাংশ জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় অল্প দিনে বাজেট অধিবেশন করার নজির রয়েছে। তাই ফেব্রুয়ারি মাসে স্বল্প পরিসরে বাজেট হতে পারে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোট থাকায় ফেব্রুয়ারি মাসে তিনদিনের বাজেট অধিবেশন হয়েছিল। এ বারও পুরভোট রয়েছে। সঙ্গে কোভিড সংক্রমণের কারণে এমনিতেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিধানসভার অধিবেশন হয়েছে বেশ কয়েক বার।
আর এ বার করোনা যেভাবে দাপট দেখিয়েছে, তাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অল্প দিনের বাজেট হতেই পারে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে ৩১ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেটের দিন অধিবেশনের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানাচ্ছেন, কলকাতা হাইকোর্ট ছয় থেকে চার সপ্তাহ পুরসভার ভোট পিছিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট তিন সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি করেছিল।
এ ক্ষেত্রে মাত্র তিন সপ্তাহ ভোট পিছনো হয়েছে বলেই ফের কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলার রায় বেরলেই বিধানসভার বাজেট অধিবেশন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারে রাজ্য সরকার।