দীপাবলির শেষে শুরু হয়েছে ছটপুজো। তারপরই মা জগদ্ধাত্রীর আগমন। চন্দননগরের পাশাপাশি উত্তর চব্বিশ পরগণার মধ্যে জগদ্ধাত্রী পুজোর খ্যাতি রয়েছে অশোকনগরে। ২০টির কাছাকাছি বড়ো বাজেটের পুজো হয় অশোকনগরের বুকে। জগদ্ধাত্রী পুজোয় অশোকনগরের পথে নামে জনসমুদ্র। তাই আগেভাগেই বুধবার জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে মহিলা সুরক্ষা সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর জোর দিয়ে পুরসভা এবং প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করলেন বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী সহ পুরসভার অন্যান্য কাউন্সিলরগণ। এদিনের বৈঠক থেকে জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপও প্রকাশ করেন পুলিশ সুপার। এদিন নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘আগামী ৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে অশোকনগরের পুজোর উদ্বোধন। আগামী ১৪ নভেম্বর হবে বিসর্জন। পুজোর কটা দিন লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী সমাগম হয় অশোকনগরে। এই সমন্বয় বৈঠকের মাধ্যমে পুজোর প্রস্তুতি নেওয়া হলো, জনসাধারণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান কর্তব্য।’
সমন্বয় বৈঠক প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা বলেন, ‘মহিলা নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। পুজোর সময় নারী নিরাপত্তার জন্য পুলিশের উইনার্স টিম, পিঙ্ক মোবাইল ভ্যান সহ পুলিশের নজরদারি রাখা হবে। অশোকনগরে বেহাল রাস্তা পুজোর আগেই মেরামত করার কথা সংশ্লিষ্ট দফতরকে বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঠাকুর দেখতে পারেন, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ এখানেই শেষ নয়, পুজোর সময় ‘ফুড সেফটি’ রাখা অর্থাৎ খাদ্যদ্রব্যে সতর্ক হওয়াও বিশেষ দরকার। পুজোর সময় প্রতিটি মণ্ডপের অদূরেই হরেক ধরনের খাবারের অস্থায়ী দোকান বসে। এ প্রসঙ্গে নারায়ণ গোস্বামীর বক্তব্য, ‘বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফুড সেফটির জন্য আমি নিজে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’ প্রসঙ্গত, চন্দননগরের পর নজরকাড়া থিম থেকে সাবেকিয়ানার মণ্ডপ হয় অশোকনগরেই। সুদৃশ্য প্রতিমা থেকে আলোকসজ্জা একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতাও চলে। মূলত হরিপুর মোড় থেকে দেবীনগর বাইপাস রাস্তা পর্যন্ত অশোকনগরের অধিকাংশ বড় বাজেটের পুজো হয়। প্রতিবারের মতো এবারও জন-নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে পুজোর প্রস্তুতি নিতে তৎপর হলো পুলিশ-প্রশাসন।