কয়েক লক্ষ যাত্রীর স্বপ্নপূরণে জুড়ে গেল বাঁকুড়া-হাওড়া রেলপথ। বর্ধমানের মসাগ্রাম রেল স্টেশনে ওই শাখার সংযোগের কাজ শেষ করল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। এই রেলপথের সংযোগ হওয়াতে একদিকে যেমন সময় কমবে, একই সঙ্গে দূরত্ব অনেকটাই কমে যাবে। এরই মধ্যে প্রায় চার দিন ধরে চলা ইন্টারলকিংয়ের কাজ শেষ করল রেল দপ্তর। ফলে রেল যাত্রীরা দারুণ খুশি। বিশেষ করে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া ও বর্ধমানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের যাত্রীরা সুবিধা পেতে চলেছেন। কম টাকায় রেলে যাতায়াতের সুবিধা পেতে চলেছেন যাত্রীরা।
প্রথমে ন্যারোগেজ থেকে ব্রডগেজ, আর এবার বাঁকুড়া থেকে সরাসরি হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ট্রেন। দূরপাল্লার এই পরিষেবা পেতে আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তারপর দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এই শাখায় ট্রেন চলবে। এরই মধ্যে বর্ধমানের মসাগ্রাম রেল স্টেশনে ইন্টারলকিং সিস্টেমের মাধ্যমে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের সংযোগ ঘটেছে। এর ফলে দূরত্ব, সময় যেমন কমবে, তেমনই ট্রেন বদলের ঝক্কি পোহাতে হবে না যাত্রীদের। একদিকে বাঁকুড়া জেলা, অন্যদিকে পুরুলিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের কয়েক হাজার যাত্রীর সুবিধা হল।
দূরত্ব কমে এখন এই রেলপথে যাত্রাপথ হবে ১৮৫ কিলোমিটারের মতো। আপ ট্রেন বদলের কোনও ঝামেলাই থাকছে না। সবচেয়ে বড় কথা, প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা হাওড়া যাওয়া আসার জন্য খুবই কম ভাড়ায় সরাসরি যাতায়াত করতে পারবেন শতবর্ষ প্রাচীন এই রেলপথে। যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, বাঁকুড়া থেকে সরাসরি হাওড়া যাওয়ার, আর ওই দাবি জানিয়ে আসছিলেন তিন জেলার রেল যাত্রীরা। সেই দাবি অবশেষে পূরণ হল।
বর্তমানে বাঁকুড়া থেকে মসাগ্রাম পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করে। হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের সঙ্গে মাত্র ১০০ মিটারের দূরত্ব ছিল। আর ওই দূরত্ব না রেখে বর্ধমান-হাওড়া কর্ড লাইনের সঙ্গে ওই রেলপথের সংযোগ ঘটানো হল। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষে জানানো হয়েছে, সংযুক্তির কাজ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করা হবে। আর তার পরেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে।