ছেলের হাতে খুন হলেন মা। অভিযুক্ত ছেলে আগে সিভিক ভলান্টিয়রের কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ের কাজ থেকে অভিযুক্ত ছেলেকে আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এমনটাই জানাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন জানাচ্ছে পরিবারের লোকজন। মাকে খুনের অভিযোগে ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মৃতার নাম যমুনা বিশ্বাস। ছেলের হাতে কুপিয়ে খুন হতে হয় মাকে। মৃত যমুনা বিশ্বাসের বাড়ি নদীয়ার ভীমপুর থানার অন্তর্গত উত্তরপাড়া গ্রামে। মৃতার ছেলে সুকান্ত বিশ্বাস অনেকদিন ধরেই মানসিক ভারসাম্যহীন জানাচ্ছে আত্মীয়রা। মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে সুকান্ত বিশ্বাসের চিকিৎসাও করানো হয়েছিল। কলকাতা ও বহরমপুরে চিকিৎসা হয়েছিল তাঁর। চিকিৎসা করানোর পরও কোনও উন্নতি হয়নি। গতকাল রাতে খাবার নিয়ে মায়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে ছেলে। বচসার পরই মাকে খুন করে ছেলে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে ছেলে। মায়ের গলায় কোপ মারে ছেলে। রক্তাক্ত অবস্থায় যমুনা দেবীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত ছেলে সুকান্তর বাবা বলেন, ‘বাড়িতে ছিলাম না। ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। চিকিৎসা চলছিল। রাতে বাড়ি ফিরে দেখি ছেলে তার মায়ের গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরেছে। ছেলের শাস্তি চাই।’