ভ্যাকসিন নিতে দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে না বর্ধমানে 

প্রতীকী ছবি (Photo: SNS/Deepak)

সবজি বিক্রেতা, হকার, ট্রেলার কর্মী, পরিবহন কর্মী, মাছ বিক্রেতা, ওষুধ দোকান কর্মচারি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন কে দেওয়া হচ্ছে কোভিড ভ্যাকসিন। শহর বর্ধমানের সংস্কৃতি লােকমঞ্চেও চলছে পুরােদমে কাজ।

সকাল দশটা থেকে চলা এই কর্মসূচিতে প্রতিদিন কয়েকশাে জনকে দেওয়া হচ্ছে টিকা। তবে মাঝে মধ্যে কিছুটা হলেও বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে। অভিযােগ উঠছে কোভিডবিধি মানা হচ্ছে না। 

গত কয়েকদিন ধরেই বর্ধমানের সংস্কৃতি লােকমঞ্চে চলছে টিকা দেওয়ার কাজ। সকাল থেকেই লম্বা লাইন পড়ছে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য। কোন কোন দিন দীর্ঘ লাইন জিটি রােড, কোট কম্পাউন্টের সংযােগ স্থলে পৌঁছে যাচ্ছে।


কিন্তু লাইন সুশৃঙ্খল থাকলেও সংস্কৃতি লােকমঞ্চের ভিতরে লােকজন কোন রকম দূরত্ববিধি মানছেন না বলে অভিযােগ। বেশিরভাগ সময় ঠেলাঠেলি গাদাগাদি করে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য হুড়ােহুড়ি চলছে। অনেকে আবার দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ভ্যাকসিন না পেয়ে ধৈৰ্য্য হারাচ্ছেন। 

বর্ধমানের আরটিও দপ্তরের এক আধিকারিক কিছু পরিচিতদের বেআইনিভাবে সুযােগ করে দিচ্ছেন বলে বিক্ষোভ উঠে শুক্রবার। সব নিয়ে অব্যবস্থার ছবি ফুটে উঠছে মাঝে মধ্যে। তবে তারই মধ্যে যে মানুষজন ভ্যাকসিন পাচ্ছেন তা নিয়েই স্বক্তি। 

অন্যদিকে কোভিড ভ্যাকসিন নিতে যাতে সাধারণ মানুষের কোন সমস্যা না হয় তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন জামালপুরের জনপ্রতিনিধিরা। আটারাে থেকে চুয়াল্লিশ বছর বয়সীদের করােনা টিকা দেওয়ার কাজ চলছে জামালপুর ব্লক জুড়ে।

মাছ বিক্রেতা, সবজি বিত্রেতা, আই সিডিএস, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, কর্মী সকলকেই টিকা দান চলছে। আর ওই কর্মসূচি চালানােয় যাতে কোন রকম সমস্যা না হয় তারজন্য সরেজমিন ঘুরছেন জামালপুরের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক প্রমুখ।