মঙ্গলে পা দিয়েও অবস্থান অব্যাহত ডাক্তারদের

মঙ্গলে পা দিয়েও অবস্থান অব্যাহত ডাক্তারদের। লালবাজারে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের অনতিদূরেই ফিয়ার্স লেনে ধরনা চলছে ‘ফিয়ার্স’ ডাক্তারদের। দাবি তাদের একটাই – পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ।

সোমবার, অর্থাৎ ২ সেপ্টেম্বর লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা৷ গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয় এক স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণরতা ডাক্তারকে। প্রতিবাদে ১৪ আগস্ট সারা বাংলা, ভারতের বিভিন্ন জায়গা এমনকী বিদেশেও রাতদখলের ডাক দেন মহিলারা। সেই কর্মসূচি চলাকালীনই রাতে আরজি কর হাসপাতালে বহিরাগত দুষ্কৃতিদের ভাঙচুরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা, অব্যবস্থা এবং পুলিশ কমিশনারের পালটা দোষারোপ, তদন্তে গাফিলতি – ইত্যাদি নানা কারণে জনরোষ বাড়তে থাকে, যার ফলেই এই অবস্থানের সিদ্ধান্ত ডাক্তারদের। মঙ্গলবারও জারি থাকে এই ধরনা-অবস্থান।

শুধু ডাক্তাররাই নন যদিও, সঙ্গে আছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-সহ আরো অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারাও। যতক্ষণ না ডাক্তাররা তাঁদের দাবি নিয়ে সন্তুষ্ট হচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত অন্যান্য পড়ুয়ারা তাঁদের পাশে থাকবেন – এমনটাই জানিয়েছেন।


সারারাত জাগার পরেও কোনো ক্লান্তির ছাপ নেই জুনিয়র ডাক্তারদের চোখেমুখে। একজন চিকিৎসক জানালেন, ডাক্তারদের রাত জেগে ২৪ ঘণ্টা, ৩৬ ঘণ্টা এমনকী ৯৬ ঘণ্টা ডিউটি করারও অভ্যেস রয়েছে। এইটুকুতে তাঁরা ভেঙে পড়বেন না – এই প্রত্যয়ে দৃপ্ত তাঁরা।

তবে, সোমবার রাতে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা না করেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন বিনীত গোয়েল। মঙ্গলবার সকালে লালবাজার পৌঁছেছেন তিনি, এমনটা জানা গিয়েছে।

রাজপথে আপাতত তাই অবস্থানে চিকিৎসকরা। বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের উপরেই ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয়েছে তাঁদের।

‘ডাক্তারদের এত ভয় কীসের প্রশাসনের? ১৪ তারিখ রাতে এত ব্যারিকেড কোথায় ছিল?’ প্রশ্ন তোলেন এক আন্দোলনরত চিকিৎসক।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার নিজাম প্যালেসের অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের পর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তবে, এই গ্রেফতারির কারণ ২০২১ সালের এক টেন্ডার সংক্রান্ত দুর্নীতি।