দ্বিতীয় বিয়ে নয়, স্ত্রীর অধিকার পেতে শ্বশুরবাড়ির দরজায় ধরনায় বসলেন স্ত্রী। শুক্রবার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পেরে এই সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রামের বাসিন্দারা।
ঘটনাটি ঘটেছে মােথাবাড়ি থানার বাবলার কমলপুর এলাকায়। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির আচরণে রীতিমতাে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। স্বামীর নাম ওয়াসিম আক্তার। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।
প্রকাশ সােনিয়া শেখের সঙ্গে কর্মসূত্রে তার পরিচয়। এরপর ২০১৪ সালের ২৯ জুন বেঙ্গালুরুতে কর্মরত ওয়াসিমের সাথে বিয়ে হয় সােনিয়া শেখের। সােনিয়ার অভিযােগ, প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। বেঙ্গলুরুতেই সংসার করতেন।
২০১৮ সালে ওয়াসিম মােথাবড়িতে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। তাদের মধ্যে এই নিয়ে সামান্য বিবাদ হয়। কিছুদিন পর তিনি চাকুরি ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁর শ্বশুরবাড়ির লােকেরা তাঁর সাথে দুর্ব্যবহার করতেন। আর এই কারণেই তিনি বাপের বাড়ি নদিয়াতে চলে যান।
সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন ওয়াসিম আবার বিয়ে করছেন। এই খবর পাওয়ার পরই তিনি নদিয়া থেকে মালদায় ছুটে আসেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন। তাঁর মুখের ওপর গেট আটকে দেয় শ্বশুর।
বাধ্য হয়ে তিনি মােথাবাড়ি থানায় অভিযােগ জানিয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন। শ্বশুর গােলাম মােস্তাফা বলেন, তার পক্ষে পুত্রবধূকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়। ছেলে ও পুত্রবধূর মধ্যে বিবাদ। পুত্রবধু ইচ্ছামতাে কাজ করেন, বাড়ির কারাের কথায় কর্ণপাত করেন না।
এলাকার পঞ্চয়েত সদস্য প্রসেনজিৎ ঋষি মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রামে এই ধরনের কাজ মেনে নেওয়া হবে না। তাঁর প্রতি অন্যায় করছে পরিবারের লােক।
এদিকে মেয়েটির অভিযােগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে মােথাবাড়ি থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ওয়াসিম সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে চাননি।