বাংলায় বিধান পরিষদ গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ভােটের দলীয় প্রার্থীদের ঘােষণার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন বাংলায় ফের সরকারে ফিরে বিধান পরিষদ গঠন করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতির প্রাথমিক ধাপ হিসাবে সােমবার বিকেলে নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়।
সেই বৈঠকে রাজ্যে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাবে অনুমােদন দেওয়া হয়। বিধান পরিষদকে রাজ্যের আইন সভার উচচ কক্ষ বলে ধরা হয়। লােকসভায় যেমন সাধারণ মানুষের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সদস্য হয়ে যান ঠিক তেমনিভাবে রাজ্যসভায় আবার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই সদস্য নির্বাচিত করেন।
রাজ্যস্তরে বিধান পরিষদও ঠিক তেমনই। মহারাষ্ট্র, বিহারে বিধান পরিষদের অস্তিত্ব রয়েছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিধান পরিষদ আগে গঠিত হত এখন আর সে উদ্দেশ্য গঠিত হয় না। আর বিধান পরিষদও আইনসভার ভুমিকা পালন করে না। রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ মর্যাদা দেওয়ার জন্য এই সভার অস্তিত্ব।
এবার তৃণমূলের টিকিটের প্রত্যাশী ছিলেন অনেকেই। কিন্তু বিভিন্ন কারণে রাজনৈতিক সমীকরণের জন্য অনেককে টিকিট দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতেই সম্ভবত এই ধরনের প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব এদিন পাশ হয় এবার রাজ্য বিধানসভায় এই প্রস্তাবকে পাশ করাতে হয়। এরপর সংসদের দুই কক্ষে এই প্রস্তাব পাশ করাতে হবে। তৃণমূলের কাছে রাজ্য বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ করাতে কোনও সমস্যাই হবে না।
তবে সংসদে তৃণমূলের শক্তি অনেক কম। তাই এই প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত সংসদে পাশ হয় কিনা সেটাই দেখার। সর্বপরি রাজ্য বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ হলে তা রাজ্যপালের কাছে পাঠাতে হবে। তিনি এই বিষয়ে শেষ পর্যন্ত কোনও প্রশ্ন তােলেন কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট কৌতুহল থাকবে।