গণপ্রহারের কোনও ঘটনাই ঘটেনি, ফুলবাড়িতে মারধর ঘটনায় স্পষ্ট জানাল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট

Written by SNS July 3, 2024 9:36 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি : গণপ্রহার বা জনক্ষোভের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তদন্তকারী সংস্থা এখনও পর্যন্ত তদন্ত জারি রেখেছে, শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়িতে এক মহিলা আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় বুধবার এক্স মাধ্যমে এমনটাই জানিয়ে দিল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। এদিন এক্স মাধ্যমে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে আরও লেখা হয়েছে, কিছুদিন আগে এনজেপি থানা সংলগ্ন অঞ্চলে যে ঘটনা ঘটেছিল সে বিষয়ে ভুঁয়ো তথ্য ছড়ানো হয়েছিল। আসল বিষয় হলো, আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করছে এবং ইতিমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এবার প্রশ্ন হলো, কি ঘটেছিলো শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়িতে? ফের গণপ্রহারের ঘটনা? তবে এবার গণপ্রহারের শিকার হয়ে আত্মঘাতী হন এক মহিলা। যদিও এই গণপ্রহারের ঘটনাটি বাস্তবে ঘটেনি বলেই দাবি করছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে ছেড়ে এলাকার এক প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন মহিলা। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। প্রায় আট দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে, ওই মহিলা স্বামীকে ফোন করে বাড়ি ফিরে আসার কথা বলেন। কিন্তু অভিযোগ, ফিরে স্বামীর কাছে আসতেই এলাকার কয়েকজন মহিলা মিলে গত শুক্রবার সালিশি সভা বসায়। সেখানে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের শাস্তি হিসেবে ওই মহিলাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সে অপমান সহ্য করতে না পেরেই মহিলা পরদিন আত্মঘাতী হন বলে দাবি তাঁর স্বামীর। ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি এক নম্বর অঞ্চলের বকরাভিটা এলাকায়। এলাকায় সবার সামনেই তাঁর স্ত্রীকে এবং তাঁকে মারধর করা হয়েছিল বলে পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন খোদ মহিলার স্বামী। এনজেপি থানায় সেই লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশ সাগর রায় ও শিবানী রায় নামক দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল। আরও দু’জনকে পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত।
মৃত মহিলার স্বামী অভিযোগ করেছিলেন, “আমার স্ত্রী এক যুবকের সঙ্গে চলে গিয়েছিল। আট দিন পরে স্ত্রী আমাকে ফোন করে। আমাকে জানায়, বাড়ি ফিরে আসতে চায়। এর পর আমি নিয়ে আসি। এলাকায় একটি সালিশি সভা বসেছিল। কয়েক জন মহিলা ছিলেন সেখানে। সেখানেই আমার স্ত্রীকে এবং আমাকে মারধর করা হয়। এরপরেই অপমানে আত্মঘাতী হয় স্ত্রী। সালিশি সভার আগে স্ত্রীকে বাড়িতে ঠাঁই দেওয়া হলে বাড়িও ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।” এবার পুলিশের তরফ থেকেই জানানো হলো, এই ধরণের গণপ্রহারের ঘটনা ঘটেনি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে। ছড়ানো হয়েছিল ভুঁয়ো তথ্য। জানা গিয়েছে, গত শনিবার কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ওই মহিলা। পরে এনজেপি থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করেছিল। রবিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে। পরে দেহ এলাকায় নিয়ে আসা হয়। সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে, জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকেই।