কয়েক মাস আগেই ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। এবার বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগী হল শিলিগুড়ি পুরনিগম। শহরের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে সংস্থার নাম বাংলা ভাষায় লেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য ভাষায় নাম থাকলেও বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক। পয়লা বৈশাখের আগেই এই সিদ্ধান্ত লাগু করার নির্দেশ দিয়েছে পুরনিগম। শহরে থাকা কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকেও এই বিষয়ে অনুরোধ করবে পুরনিগম। শিলিগুড়ির আপামর জনতা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
শিলিগুড়ি পুরনিগম থেকে প্রকাশিত নির্দেশিকায় সমস্ত বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, দোকান, বিপণন কেন্দ্র, শপিং মল, অফিস, রেস্তরাঁ, হোটেল, হাসপাতাল, ডায়গনাস্টিক সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে বাংলায় সাইন বোর্ড লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুরনিগমের সমস্ত কার্যালয় ও শাখা কার্যালয়, বরো অফিসগুলোর সমস্ত সাইন বোর্ড বাংলায় লেখা হয়েছে। শহরের সমস্ত সাইনবোর্ড, হোর্ডিংয়ে বাংলার পাশাপাশি অন্য ভাষা থাকতেই পারে, তাতে কোনও সমস্যা নেই।
শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি মেয়র পারিষদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে প্রস্তাব ওঠে, আলোচনাও হয়। ৫ মার্চ বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের বৈঠকে বিষয়টি পাস করা হয়। এরপর ২১ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আমরা বাংলায় থাকি। বাংলা ভাষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। বাংলা ধ্রুপদী ভাষার সম্মান পেয়েছে। এই ভাষার প্রসার ঘটাতেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। বাম পরিষদীয় দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম পুরনিগমের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন বলেন, পুরনিগমের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। বাংলা ভাষার সঙ্গে অন্যান্য ভাষাও থাকুক। এতে কারও কোনও সমস্যা নেই। ফেডারেশন অফ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, অত্যন্ত ভালো সিদ্ধান্ত। রাজ্যের প্রতিটি শহরে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। ইতিমধ্যেই শহরের বিধান মার্কেটে মাইকিং করে বলে দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক দোকানদারকে বাংলায় হোর্ডিং লিখতে হবে।