বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ওঠে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি বিষয়ক মামলা। প্রস্তাবিত সভার অনুমতি দিলেও সতর্ক হতে নির্দেশ হাইকোর্টের।
শুনানি চলাকালীন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, ‘মুচলেকা দিলে জীবন বাঁচানো যায় না।’ হাওড়ার শ্যামপুরে কামারপুর রোডে দেউলি বাজার জংশন এলাকায় সভা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু যে মাঠে সভা হবে সেখানে যাওয়ার জন্য রাস্তা অত্যন্ত সরু। এরফলে সেখানে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধী দলনেতার কনভয় ঢোকা-বেরনো কষ্টকর, কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই যুক্তি দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
এর প্রত্যুত্তরে বিজেপির আইনজীবী সওয়াল করেন, নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। এমনকী, মুচলেকা দেওয়ারও দাবি করেন তিনি।এরপর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “মুচলেকা দেওয়ার পরও যদি কোনও ঘটনা ঘটে যায়, তারপরও জীবন বাঁচানো যায় না। ওই মাঠে হাজার দেড়েক লোক নিয়ে সভা করতে পারবে বিজেপি। শুধু বিরোধী নেতা ছাড়া আর কেউ গাড়ি নিয়ে মাঠের কাছাকাছি যেতে পারবেন না। সবাইকে হেঁটে যেতে হবে বড় রাস্তা থেকে।” একই সঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, “এই শেষবারের জন্য অনুমতি দিচ্ছি। জাতীয় সড়কের ধারে সভা করলেও আমি অনুমতি দেব। কিন্তু এরপরে সভার জন্য অন্তত ২০ মিটারের কম চওড়া রাস্তা হলে, সেখানে সভার অনুমতি দেওয়া হবে না।” কারণ বিচারপতির যুক্তি, জেড ক্যাটাগরি ভিআইপি-র কোন ঘটনা ঘটে গেলে পুলিশের কিছু করার থাকবে না।