পরেশ অধিকারীর মেয়ে তো একটি মাত্র উদাহরণ। প্রাথমিক চাকরির নিয়োগে দুর্নীতি ভাবে চাকরি পাবে আরও ১৫ হাজার জন৷
সম্প্রতি কাঁথির জনসভা থেকে এমন অভিযোগ সম্মুখীন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ শুভেন্দুর অভিযোগের জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আবারও বিস্ফোরকমূলক অভিযোগ আনলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির সূ পুত্র তথা কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি৷
সুপ্রকাশের দাবি, ‘‘রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিগত ২০১১ সাল থেকে দুর্নীতির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িত রয়েছেন।
রাজ্যের সরকারকে ব্যবহার করে হলদিয়া নানান শিল্পাঞ্চল থেকে কোলাঘাট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সর্বত্রই সবক্ষেত্রে মোটা টাকা লুঠ করেছেন৷’’
খানিক থেমে সুপ্রকাশের বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘‘২০১২ সালে কাঁথি পুরসভায় বসে ৩৯০০ জনকে টাকার বিনিময়ে প্রাথমিকের নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তার পাশাপাশি সরকারি নানা দফতরে নিজের বাড়ির লোক, কাজের লোক থেকে শুরু করে গাড়ির চালক, স্থানীয় ক্লাবের বহু লোকজনদেরকে অবৈধ পদ্ধতিতে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে ’’ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতেও শুভেন্দুর নাম জড়িয়েছেন সুপ্রকাশ গিরি৷ অখিল পুত্রের দাবি, ‘‘’কাঁথি’র সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাংক, কার্ড ব্যাঙ্ক এবং বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এই তিন ব্যাঙ্কে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি করেছেন শুভেন্দু ৷’’ সাধারণত অখিল পুত্রের দাবি ঘিরে কাঁথির রাজনৈতিক মহলে পড়ে গিয়েছে কোলাহল৷