বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের বাসিন্দা বড়শা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শেখ ভাদুকে ২২ মার্চ রাত্রি ৮ টা ৩৫ মিনিটে বোমা মেরে খুন করার পরই ওই রাত্রেই বগটুই গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয় এবং দশটি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে ঘরের মধ্যে ভরে আট জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোকে কেন্দ্র করে তোলপাড়া হচ্ছে রাজ্য ও দেশের রাজনীতি।
ঘটনার পরই ২৩ মার্চ বগটুই গ্রামে এসে এই ঘটনাকে আধুনিক বাংলার লজ্জা বলে অভিহিত করেছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারি। এই ঘটনার প্রতিবাদে তিনি আবারও এখানে আসবেন বলে ওইদিন জানিয়ে গিয়েছিলেন।
ইতিমধ্যেই শুক্রবার ২৫ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনার তদন্তভার রাজ্য সরকারের সিটের হাত থেকে নিয়ে তা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৫ মার্চ বগটুই ঘুরে গিয়েছেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার ২৬ মার্চ বিজেপির পক্ষ থেকে রামপুরহাটে অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চ তৈরী করে সেখানে অবস্থানে বসেন বিজেপি কর্মীরা।
এই অবস্থান মঞ্চে এসে শুভেন্দু অধিকারি বগটুইয়ের ঘটনার সিবিআই তদন্তের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সংবিধানের বড় পিলার আদালত তার নিজস্ব রীতি, পদ্ধতি অনুযায়ী বগটুইয়ের ঘটনার সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে আদালতকে নত মস্তকে প্রণাম জানাই।
সেই সাথে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টারে বগটুই আসার কথা উল্লেখ করে বলেন, উনি উড়ে এসে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন। উনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্বারাষ্ট্র পুলিশমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও বিধানসভায় স্বরাষ্ট্র দফতর নিয়ে কোনও আলোচনা করেননি।
তাই আমরা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করছি। সেই সঙ্গে যারা তোলাবাজি করছে, আইনকে নিজের হাতে নিচ্ছে তাদের কঠিনতম শাস্তি দিতে হবে।