স্বাস্থ্য পরীক্ষার করার পর ইএসআই হাসপাতাল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বের করার সময় তাঁর দিকে জুতো ছুড়ে মেরেছেন শুভ্রা ঘোড়ই l
হাসপাতাল চত্বরে এমন কাণ্ড ঘটানোর পর খালি পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ছুড়ব না? কেন জুতো ছুড়েছি আপনারা জানেন না? কত গরিব মানুষের টাকা নিয়েছেন উনি।
নিজে কোটি কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনে ফুর্তি করেছেন। ওঁকে আবার এসি গাড়ি করে নিয়ে আসা হচ্ছে! গলায় দড়ি দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে আসা উচিত।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর যে সবার রাগ, এদিন সেকথাও জানান শুভ্রা বারবার বলেন, কত মানুষকে চাকরি দেবেন বলে টাকা নিয়েছেন উনি।
তারপর সেই টাকায় ফুর্তি করেছেন! জুতোটা ওঁর মাথায় গিয়ে লাগলে আমি খুশি হতাম। ঘটনার পরই সংবাদমাধ্যমের সমস্ত ক্যামেরার ফোকাসে এসে পড়েন ওই মহিলা।
জানা যায়, তাঁর নাম শুভ্রা ঘোড়ুই। তিনি আমতলার বাসিন্দা, সাধারণ এক গৃহবধু।
শুভ্রাদেবী জানালেন তিনি হাসপাতালের আউটডোরে চেক আপ করাতে এসেছিলেন। তা হয়ে যাওয়ার পর ওষুধ নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন।
তখনই শুনতে পান যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে সেখানে।
এরপর পার্থবাবু বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় তাঁর দিকে নিজের চটি ছুঁড়ে মারেন শুভ্রাদেবী। তাঁর বক্তব্য, যখন টিভিতে দেখেছিলাম,
এত এত টাকা উদ্ধার হচ্ছে, ওরা অ্যারেস্ট হয়েছে তখন খুব রাগ হয়েছিল। এত লোকের টাকা মেরে, চাকরি মেরে ওরা এত ফ্ল্যাট, বাড়ি করেছে!
মনে মনে ভেবেছিলাম, ওই লোকটাকে হাতের কাছে পেলে জুতোপেটা করব। আজ এই খবরটা শুনে সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি।
শুভ্রাদেবী আরও বলছেন, আমার রাগ ছিল। শুধু আমার নয়, গোটা বাংলার মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। জুতো মেরে শান্তি পেয়েছি।
তবে জুতোটা টাকে লাগলে ভাল লাগত। আপনারাই বলুন, ওকে কি মালা দিয়ে বরণ করলে ভাল লাগত? এরপর অবশ্য শুভ্রাদেবী আর দাঁড়াননি।