সিউড়িতে এসে নবান্ন দখল  না করার কথা বললেন শুভেন্দু

একদিকে রাজ্য তথা দেশ তোলপাড় করা কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল  কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক  ‘তিলোত্তমা’ কে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক  এবং নাগরিক সমাজের যে ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে। তাকে পূর্ণ সমর্থন জানানোর পাশাপাশি জোর করে রাজ্য প্রশাসনের প্রধান কেন্দ্র  ‘নবান্ন’  জোর করে  দখল করার পক্ষে তাঁরা নন বলে স্পষ্টভাবে  জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।

বিজয়া সম্মেলন উপলক্ষ্যে সোমবার ১৪ অক্টোবর বীরভূমের সিউড়িতে এসে দলীয় কর্মীদের এক প্রকাশ্য সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ন’বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে যে সব নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে তার উল্লেখ করেন, এসব ঘটনার জন্য রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এবং পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন যে, উত্তরপ্রদেশ, অসম, মহারাষ্ট্রে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সেখানকার সরকার কঠোর থেকে কঠোরতম প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী প্রমুখ।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র আমরাই এমন একটা রাজ্যে বাস করছি যেখানে একই জেলে ধর্ষক সঞ্জয় রায়, হাসপাতাল সুপার সন্দীপ ঘোষ থেকে শুরু করে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল একসঙ্গে বাস করছেন। মমতার এই হ য ব র ল রাজ্যেই এটা সম্ভব। তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধারাবাহিক আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন করে বলেন, গত  ২৭ আগস্ট ছাত্র সমাজের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তাঁদের দলীয় একলক্ষ কর্মী রাজ্য সরকারের প্রধান প্রশাসন কেন্দ্র নবান্নের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁরা চাইলে নবান্নের চৌদ্দতলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে নীচে নামিয়ে গাড়িতে তুলে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে পারতেন।


কিন্তু তাঁরা তা চাননি। তাঁরা চান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের  মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপসারণ। এজন্য তিনি দলীয় কর্মীদের  এলাকায় এলাকায়  মানুষকে সংগঠিত করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান  জানানোর পাশাপাশি জেলায় কয়লা, বালি, পাথর চুরির সঙ্গে প্রশাসনের একাংশ জড়িয়ে গিয়ে যে ভাবে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব লুঠ করছে, তার বিরুদ্ধেও আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।