পাকস্থলীতে বিষাক্ত পদার্থ! পূর্ণিমার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য

ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। পূর্ণিমা কান্দুর পাকস্থলীতে মিলেছে বিষাক্ত পদার্থ, এমনটাই দাবি করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, বিষক্রিয়ার জেরেই কি প্রাণ হারিয়েছেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু?

বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পূর্ণিমা কান্দুর পেটে ক্ষতিকারক পদার্থের অস্তিত্ব মিলেছে।ময়না তদন্তের রিপোর্টে তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। পূর্ণিমার ছেলে দেব কান্দুর আশঙ্কা, নবমীর রাতে কেউ বিষ জাতীয় কিছু খাইয়ে মাকে খুন করেছে।

পূর্ণিমার মৃত্যুর পরই পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে। দেওরের ছেলে মিঠুন কান্দুর দাবি ছিল, ‘স্লো পয়জন’-এর মাধ্যমে মেরে ফেলা হয়েছে তাঁর কাকীমা পূর্ণিমা কান্দুকে। এবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের তেমন ইঙ্গিত মেলায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনার কথাও উঠে আসছে। যেহেতু পূর্ণিমার পাকস্থলিতে বিষাক্ত পদার্থ মিলেছে, তাই হয় তিনি নিজের বিষ খেয়েছেন বা তাঁকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পুলিশ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। কান্দু পরিবারের তরফে শীঘ্রই পুলিশের অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে খবর।

গত শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকেই অচৈতন্য অবস্থায় পূর্ণিমাকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ণিমার সন্তানরা বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ি ফিরে তাঁরা মা-কে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পূর্ণিমা ঝালদা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন। বেশ কয়েক মাস উপ-পুরপ্রধানের দায়িত্বও সামলান ৪২ বছর বয়সী পূর্ণিমা।

২০২২ সালের ১৩ মার্চ খুন হন ঝালদা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। বিকেলে হাঁটতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় আততায়ীদের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রাথমিকভাবে রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল তদন্ত করলেও পরে মামলাটি চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে। ৭ জন গ্রেপ্তারও হয়। মামলাটি আপাতত বিচারাধীন।