বুধবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের কাছ থেকে। বুধবার এই চিঠি পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। যদিও তৃণমূলের করা অভিযােগের কোনও সারবত্ত নেই বলেই জানিয়েছেন এই প্রার্থী।
প্রিয়াঙ্কার কথায়,-‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে , তাই যেনতেন প্রকারেণ আমার প্রচার বন্ধ করতে চাইছে। কী জন্য অভিযােগ করেছে তৃণমূল? নির্বাচন কমিশনের পাঠানাে চিঠি অনুযায়ী, মনােনয়নপত্র জমা করার সময় প্রিয়াঙ্কা কোভিডবিধি ভেঙেছিলেন।
করােনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার মনােনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তবে প্রিয়াঙ্কা সেই নিয়ম মানেননি বলেই অভিযােগ। মনােনয়নপত্র জমা করার সময় জনসমাগম হয়েছিল।
প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বহু গাড়ি এবং তাতে দলীয় পতাকা ছিল বলে অভিযােগ। জানিয়েছে তৃণমূল। এর পরই প্রিয়াঙ্কার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। যদিও প্রিয়াঙ্কার দাবি, “আমি চিঠি পেয়েছি। জবাব দেব। তবে কোনও নিয়ম আমি ভাঙিনি।
শুভেন্দুদা আমার গাড়িতে ছিলেন। অর্জুন সিং, দীনেশ ত্রিবেদীরা অন্য গাড়িতে সােজা কমিশনের অফিসে পৌঁছেছিল। রাস্তায় ক’টা গাড়ি থাকবে, কারা আসবে, যাবে, সেটা দেখার দায়িত্ব আমার নয়। কমিশনের অফিসের বাইরে যখন ভিড় জমেছিল, তখন জমায়েতকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়নি কেন?
এর পরই তৃণমূলকে তাঁর কটাক্ষ, ‘আসলে ওঁরা আমাকে ভয় পেয়েছে। তাই যেভাবে হােক আমার প্রচার আটকাতে চাইছে। তাই কমিশনে চিঠি দিয়েছে। প্রসঙ্গত, সােমবার মনােনয়ন পেশের আগে মন্দিরে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
ধুনুচি হাতে মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। এই পুজো শেষে গােলবাড়ি মন্দির থেকে বর্ণাঢ্য শােভাযাত্রা করে পৌঁছন আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে। দলের নেতা ছাড়াও তাঁর সঙ্গে ছিলেন বহু কর্মী-সমর্থক। আর এ নিয়েই আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল।
তাঁদের অভিযােগ, প্রিয়াঙ্কা মনােনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মানেননি। এখন দেখার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বিজেপি প্রার্থীর কাছ থেকে জবাব নিয়ে কি নির্দেশ দেয়?