আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ২০০ টি আসন জয়ের টার্গেট বঙ্গ বিজেপিকে দিয়েছেন অমিত শাহ । কিন্তু এই জয়ের সৈনিক কারা হবে, তা নির্দিষ্ট করবেন স্বয়ং শাহ। এই বিষয়ে বঙ্গ বিজেপির ওপরেও ভরসা করতে নারাজ তিনি।
সূত্রের খবর, বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের রিপাের্টের ওপর ভিত্তি করেই এই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। অমিত শাহ নিজে প্রত্যেকটি প্রার্থী বাছাই করবেন।
Advertisement
প্রসঙ্গত, লােকসভা নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবেই ১৮ টি আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি এবং অন্যান্য বহু আসনে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির ভােটের ব্যবধান ছিল অত্যন্ত কম। সেই একই পদ্ধতিতে বঙ্গের মসনদ দখল করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
Advertisement
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কোনওভাবেই যাতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের গােষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুযােগ বিরােধীপক্ষ না নেয়, সেজন্য আগেভাগেই দলের রাশ নিজেদের হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমনকি ভােটের আগেই পাঁচজন আস্থাভাজন বিজেপি নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বঙ্গের। তাদের রিপাের্ট খতিয়ে দেখবেন অমিত শাহ এবং তিনি নির্দিষ্ট করবেন কারা একুশের নির্বাচনে বিজেপির সৈনিক হবেন। এদিকে ৮ এবং ৯ ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা।
এদিকে দিলীপ ঘােষ এবং মুকুল রায়ের পারস্পরিক সম্পর্ক যে খুব একটা মধুর নয়, তা সর্বজনবিদিত। তাই ভােটের যাবতীয় ব্যাটন নিজের হাতে রাখতে চায় গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় রাজ্যের লােকসভা কেন্দ্রকে সাংগঠনিক জেলা হিসেবে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
পূর্ব, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম জেলার দায়িত্বে রয়েছেন সুনীল দেওধর। কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, দমদম লােকসভার দায়িত্ব নিয়েছেন দুষ্যত গৌতম বিনােদ। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনােদ শঙ্করকে। পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম জেলার দায়িত্ব, উত্তরবঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হরিশ দ্বিবেদীকে।
অন্যদিকে দলের জন্য বরাবরই প্রার্থী বাছাই করে আসনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও বিজেপির প্রার্থী বাছাই করেছেন অমিত শাহ নিজেই। এখন দেখার এই পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রিপাের্টের ওপর ভিত্তি করে কাদের বিধানসভা নির্বাচনে সৈনিক হিসেবে চিহ্নিত করেন শাহ।
Advertisement



