একদিকে যখন আরজি কর কাণ্ডের বাণে বিদ্ধ রাজ্যের শাসকদল, ঠিক তখনই ‘জেইউ ফর জাস্টিস’ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে ধরনায় বসল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক সকলেই। মূলত ২০২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলে র্যাগিংয়ে মৃত পড়ুয়া এবং আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে তাদের এই ধরনা। একই সঙ্গে অবস্থানে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে।
এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার এবং পুলিশ ক্ষমতার অপব্যবহার করে আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে চাইছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পুজোর সময় আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত ‘অভয়া পরিক্রমা’ নামক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ পড়ুয়া। আন্দোলনকারীদের দাবি, দাঙ্গা ছড়ানোর মিথ্যে মামলা দিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মূলত, আরজি কর-কাণ্ডের বিচার এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তা চেয়ে জুনিয়র ডাক্তারেরা যে দাবি জানিয়েছেন, যাদবপুর তার পাশে রয়েছে বলে দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের দাবিগুলি পূরণ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, ‘অভয়া পরিক্রমা’র সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্রছাত্রীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে বলে দাবি জানানো হয়েছে। আন্দোলনকারীদের আরও দাবি, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
তাঁদের আরও দাবি, র্যাগিংকাণ্ডে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে, যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে লিঙ্গ সংবেদনশীল কমিটি (জিএসসিএএসএইচ) গঠন করতে হবে বলেও দাবি তাঁদের। পাশাপাশি, ‘হুমকি প্রথা’ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বর্জন করার দাবিসহ মোট সাতটি দাবি নিয়ে ধরনায় বসেছেন তাঁরা।