• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সংখ্যালঘু উন্নয়নে রাজ্যের একাধিক প্রকল্প ঘোষণা

বৈঠকেই প্রাক্তন সাংসদ ও সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্য এসএস. আলুওয়ালিয়া বলেন, সমস্যাগুলিকে লিখিত আকারে দিলে তিনি তা রাজ্যের এক্সিকিউটিভ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন।

রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমানের বিডিএ- র সভাঘরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হলো। ওই সভায় রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান, রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মমতাজ সংঘমিতা, সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্য এসএস আলুওয়ালিয়া, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সনা আক্তার, সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্য সেহনাজ কাদরী, আইনজীবী রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি।

এদিনের বৈঠকে সংখ্যালঘু মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ এবং জৈন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা, এনজিও কর্মী, শিক্ষক এবং অন্যান্য পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। সভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সমস্যা এবং দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান উল্লেখ করেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু উন্নয়নে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। তিনি জানান, সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ থেকে শুরু করে হোস্টেল নির্মাণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সমস্ত এলাকাগুলো, যেখানে সমস্যা আছে, তা নিরসনের জন্য কমিশন নিরলসভাবে কাজ করছে। এদিকে প্রথম দিকে বৈঠকে জেলাশাসকের প্রতিনিধি না থাকার কারণে সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে অতিরিক্ত জেলাশাসক সনা আক্তার আসার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সভায় শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মহেন্দ্র সিং সালুজা বর্ধমানের গুরুদ্বার উন্নয়নের জন্য আবেদন জানান। একই সঙ্গে বর্ধমানের গুরুদ্বারে যে গুরু নানকের পদধূলি পড়েছিল তার চরণ কমল সরকারি লিফলেটে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দেন। জৈন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বর্ধমান মহাবীরের নাম অনুসারে বর্ধমান শহরের নামকরণ হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এবং বর্ধমান রেলস্টেশনে মহাবীরের একটি মূর্তি স্থাপনের আবেদন রাখেন।

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বিকাশ মল্লিক কার্জন গেটের পাশে অবস্থিত খ্রিস্টান চার্চের উন্নয়নের জন্য সংখ্যালঘু কমিশনের কাছে আবেদন জানান। আর মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা সংখ্যালঘু হোস্টেল, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন। এছাড়াও বর্ধমান আল-আমিন মিশনের সম্পাদক আজফার হোসেন সংখ্যালঘু মিশনগুলোর উন্নয়নের জন্য মিড ডে মিল এবং সরকারি বইয়ের ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। রহমানিয়া আল-আমিন মিশনের সম্পাদক হাজী কুতুব উদ্দিন সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। সাহিত্যিক রমজান আলি ও বিধায়ক অলোক মাঝি পূর্ব বর্ধমানের দর্শনীয় ও পর্যটনের জায়গা গুলি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন । অন্যতম সদস্য মহম্মদ আসরাফউদ্দিন, সফিকুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেনরা নানা প্রকল্প এবং বেশ কিছু অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন ।

রাজ্য প্রগ্রেসিভ নার্সিংহোম এন্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য চেয়ারম্যান শেখ আলহাজউদ্দিন ক্যান্সারের বিষয়ে সাহায্য করার আস্বাস দেন। বৈঠকেই প্রাক্তন সাংসদ ও সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্য এসএস. আলুওয়ালিয়া বলেন, সমস্যাগুলিকে লিখিত আকারে দিলে তিনি তা রাজ্যের এক্সিকিউটিভ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন। অন্যদিকে সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান বলেন, সমস্যাগুলির সমাধানে আন্তরিকভাবে চেষ্টার পাশাপাশি আগামীদিনে আরও বৈঠক করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান ও সংখ্যালঘু কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা বিডিএ-র সভা ঘরে অনুষ্ঠান শেষ করে ডিএম ও অন্যান্য সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন ।