• facebook
  • twitter
Thursday, 26 December, 2024

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চুরি রুখতে চালু হচ্ছে একাধিক নিয়ম

নার্সিং হোম বা হাসপাতালের ৫০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে এই অ্যাপ কার্যকরী হবে। তার বাইরে কার্যকরী হবে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হওয়া মাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জিপিএস অন করে নির্দিষ্ট অ্যাপ চালু করতে হবে।

প্রতীকী চিত্র

ব্যাপক চুরি হচ্ছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে। আর সেই চুরি রুখতে চালু হচ্ছে একাধিক নিয়ম। এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করে ঘুরপথে চুরির টাকা আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে নার্সিং হোমগুলির জালিয়াতি আটকাতেই এই নিয়মগুলি চালু করা হচ্ছে। আনা হচ্ছে একটি নতুন অ্যাপ।

কিন্তু চুরি আটকাতে কীভাবে কার্যকরী হবে এই নিয়মগুলি? অ্যাপ কীভাবে কাজ করবে? জানা গিয়েছে, কয়েকটি পদ্ধতি মেনে এবার থেকে স্বাস্থ্য সাথীর টাকার অনুমোদন পাওয়া যাবে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট নার্সিং হোম বা হাসপাতালকে মানতে হবে কতকগুলো পদ্ধতি। প্রথমে হাসপাতালে রোগী ভর্তি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অপারেশনের আগে ও পরের সমস্ত তথ্য এবং রোগীর ছুটির সময় রোগীর ছবি ও ভিডিও তুলে নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে স্বাস্থ্যভবনে পাঠাতে হবে।

কোনও বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তি হলে হাসপাতালকে সঙ্গে সঙ্গে সেই তথ্য ছবি সমেত সরকারকে জানাতে হবে। রোগী সত্যিই হাসপাতালে আছেন কিনা চিকিৎসার প্রতিটি ধাপে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নির্দিষ্ট সার্ভারে রোগীর জিপিএস লোকেশন পাঠাতে হবে। রোগীর ছবি, ভিডিও এবং জিপিএস লোকেশন একবার পাঠানো হয়ে গেলে পুনরায় তা সম্পাদিত করা যাবে না। অনুরূপভাবে ডায়ালিসিস, কেমোথেরাপি ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

নিয়ম অনুযায়ী, নার্সিং হোম বা হাসপাতালের পাঠানো তথ্য জাল কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই ব্যবহার করা হবে। এভাবে সার্ভারে তোলা ভিডিও এবং ছবি যাঁচাই করে দেখা হবে। কোনোভাবে ভুয়ো তথ্য আপলোড করলে সরকার সেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে টাকা দেবে না রাজ্য সরকার।

নার্সিং হোম বা হাসপাতালের ৫০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে এই অ্যাপ কার্যকরী হবে। তার বাইরে কার্যকরী হবে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হওয়া মাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জিপিএস অন করে নির্দিষ্ট অ্যাপ চালু করতে হবে। পরীক্ষা শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপ বন্ধ করতে হবে। জিপিএস অন করে রোগীর বিভিন্ন পর্যায়ের ছবি আপলোড করতে হবে ডাক্তারের স্মার্ট ফোনে। সেজন্য কোনওরকম ভুল তথ্য আপলোড করলে সংশ্লিষ্ট নার্সিং হোম বা ডাক্তারকে দায়ী করা হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে জরিমানা এমনকি কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হতে পারে।