দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ি পুরনিগমের চার নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতিনগরে। পাথরের আঘাতে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী। দুই পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছেন। সোমবার সকালে জ্যোতিনগরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী, র্যাফ। নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছড়ায়, তার জন্য এলাকায় চলছে টহল। এদিন গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর, ডিসিপি বিশ্বচাঁদ ঠাকুর, ডেপুটি কমিশনার (সদর) তন্ময় সরকার সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। কোনওরকম গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে চরক পুজোর সন্ন্যাসীদের উপর আক্রমণ চালায় একদল দুষ্কৃতী। এরপর ওই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত বলে দাবি এলাকাবাসীর একাংশের। রবিবার মধ্যরাতে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। আর সোমবার সকালে সেই ঝামেলা আরও বড় আকার ধারণ করে। দুই গোষ্ঠীর লোকেরা একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি দোকানেও হামলা চালানো হয়। ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হন দুই পুলিশকর্মী।
জ্যোতিনগরের ঘটনার পর শিলিগুড়ি শহরজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শহরের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকরের বক্তব্য, ‘দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলার জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। পাথর ছোড়াছুড়ি হয়েছে। শহর শান্ত রয়েছে। কেউ কোনও গুজবে কান দেবেন না। পদস্থ পুলিশকর্তারা রাস্তায় রয়েছেন। আমি নিজে রাস্তায় রয়েছি।’ পুলিশ সূত্রে খবর, জ্যোতিনগর এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথাও বলেছেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকেরা।