দৃষ্টিহীনদের পাশাপাশি এবার বধিরদেরও পথ চলার সঙ্গী হল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ‘সেবাশ্রয়’। প্রায় আড়াই মাসের কর্মযজ্ঞে শতসহস্র প্রাণ বাঁচিয়েছে সেবাশ্রয়, হাসি ফুটিয়েছে আট থেকে আশির মুখে। এবার শ্রবণশক্তি ফিরিয়ে দিতে বজবজের সেবাশ্রয় শিবিরের ৪৬ জন রোগীকে বিশেষ কাস্টম-ফিটেড হিয়ারিং এইড দেওয়ার উদ্দেশ্যে মোল্ডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। এই ৪৬ জনের তালিকায় রয়েছে শিশু থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। এই তথ্য সমাজমাধ্যমে তুলে ধরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এই ইয়ারমোল্ডগুলি সিলিকন দিয়ে তৈরি, যা একেবারেই নিখুঁত। কানে কোনো সমস্যা ছাড়াই এটি ব্যবহার করা সম্ভব। পাশাপাশি এটি আরামদায়ক এবং স্পষ্ট শোনার অভিজ্ঞতাও প্রদান করে।’ তাঁর ভাষায়, ‘এটাই সেবাশ্রয়ের বিশেষত্ব। এটি শুধু চিকিৎসা নয়, আশার আলো জ্বালানো, অনুভূতি ফিরিয়ে আনা এবং সুনিশ্চিত করা যে কারও যেন জগৎ নীরবতায় হারিয়ে না যায়।’ এভাবেই দৃষ্টি থেকে শ্রবণ, সর্বক্ষেত্রে মানুষের জীবনকে সহজ ও উপভোগ্য করার জন্য প্রস্তুত সেবাশ্রয়। অভিষেকের উদ্যোগে এবং মহৎ কর্মযজ্ঞে আপ্লুত সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সাড়ে নয় লক্ষের অধিক রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে সেবাশ্রয়ে। প্রতিনিয়ত সেবাশ্রয়ের শিবিরে আসছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। চক্ষু, দন্ত, কর্ণ কোনো কিছুর চিকিৎসাই উপেক্ষিত হয়নি সেবাশ্রয়ে। ১৩ মার্চ মহেশতলার সেবাশ্রয় স্বাস্থ্যশিবির শেষ হবে। এরপর ১৬-২০ মার্চ পর্যন্ত মেগা ফলো-আপ সেবাশ্রয় শিবির আয়োজিত হবে গোটা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা জুড়ে। প্রতিদিন সেবাশ্রয় শিবিরের কার্য তদারকি করে চলেছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সহকর্মী সুমিত রায়। সম্প্রতি মহেশতলার সেবাশ্রয় শিবির পরিদর্শন করে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ‘সুস্বাস্থ্য সমাজের লক্ষ্যে এবং স্বাস্থ্যসেবার মৌলিক অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে এই কর্মসূচির সূচনা হয়। রোগমুক্ত সুস্থ জীবন ফেরানোর ব্রত নিয়ে, রোগীদের সমস্তরকম সংকীর্ণতার অচলায়তন দূরীকরণে আমার যথাসাধ্য চেষ্টা এবং পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। মানুষের প্রত্যয়ে, ভরসায় এবং তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বুঝেছি, তাঁদের হৃদয়ের নির্ভরযোগ্য সেবাস্থল হয়ে উঠেছে সেবাশ্রয়।