• facebook
  • twitter
Wednesday, 18 December, 2024

আগামীকাল থেকে ১০ দিন বিক্ষোভের পরিকল্পনা প্রবীণ চিকিৎসকদের

কলকাতা পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত চলাকালীন সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার আধিকারিক অভিজিৎ মণ্ডল উভয়ের বিরুদ্ধে তদন্তকে বিভ্রান্ত করা এবং প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। ফাইল চিত্র

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেয়ে যাওয়ায় ফের সরব হয়ে উঠল রাজ্যের চিকিৎসক মহল। ঘটনার প্রতিবাদে ন্যায় বিচার চেয়ে ফের রাস্তায় নামতে চলেছেন তাঁরা। ফের চিকিৎসকরা ক্ষোভ উগরে দেন ও বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা আগামী মঙ্গলবার থেকে ফের টানা ১০দিন আন্দোলনে নামতে চলেছেন।

প্রসঙ্গত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল-এই দুজনের বিরুদ্ধে আর জি করের এক মহিলা জুনিয়র ডাক্তারকে ভয়াবহ ধর্ষণ ও হত্যার প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) এই দুই অভিযুক্তের গ্রেপ্তারের ৯০ দিনের মধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা জামিন পেয়ে গিয়েছে। মধ্য কলকাতার ডোরিনা ক্রসিং-এ এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে এবং ২৬শে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। চিকিৎসকদের সংগঠন ইতিমধ্যেই মধ্য কলকাতায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য মঞ্চ নির্মাণের জন্য কলকাতা পুলিশের অনুমতি চেয়েছে। কমিটির একজন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের অনুমতি না পেলে ফোরামটি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ আদালত আরজিকর-এর প্রাক্তন এবং বিতর্কিত অধ্যক্ষকে “ডিফল্ট জামিন” মঞ্জুর করেছে। কলকাতা পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত চলাকালীন সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার আধিকারিক অভিজিৎ মণ্ডল উভয়ের বিরুদ্ধে তদন্তকে বিভ্রান্ত করা এবং প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সিবিআই এখনও পর্যন্ত এই মামলায় শুধুমাত্র একটি চার্জশিট দাখিল করেছে। যেখানে সিভিক পুলিশ সঞ্জয় রায়কে ধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে “একমাত্র প্রধান” অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট, রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারদের একটি শাখা, সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই বিষয়ে তাদের পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্যেই গত শনিবার কলকাতার উত্তরের উপকণ্ঠে সল্টলেকে সিবিআই-এর বিশেষ অপরাধ ইউনিটের কার্যালয়ে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। ফ্রন্ট বৃহত্তর জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখে আগের প্রত্যাহার করা “কর্মবিরতি”-কে পুনরায় শুরু করার হুমকি দিয়েছে। নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মাও দাবি করেছেন যে, সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় প্রতিবাদ করাই এখন একমাত্র উপায়।