• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

লুটের টাকায় এঘাট ওঘাট ঘুরে কালীঘাটের হাজির হচ্ছে আরামবাগে বললেন সেলিম

সিপিএমের পলিটব্যুরাের সদস্য মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে এই মিছিল অনেকদিন পর বামেদের একটি উল্লেখযােগ্য সমাবেশ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

মহম্মদ সেলিম (Photo: SNS)

মঙ্গলবার আরামবাগে বামেদের ডাকা একটি প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন এলাকার অসংখ্য মানুষ। সিপিএমের পলিটব্যুরাের সদস্য মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে এই মিছিল অনেকদিন পর বামেদের একটি উল্লেখযােগ্য সমাবেশ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বিরােধী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে , নিত্যপ্রয়ােজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, রাজ্য সরকারের ভ্রান্ত নীতি তৃণমূলের তােলাবাজি, লুঠতরাজের প্রতিবিধানের জন্য আয়ােজিত এই মিছিলে মহম্মদ সেলিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রীদীপ চ্যাটার্জি, আরামবাগের ১ নং এরিয়া কমিটির সম্পাদক পুর্ণেন্দু চ্যাটার্জি সহ সিপিএমের বহু নেতাকর্মী।

কালীপুর থেকে শুরু করে আরামবাগ, বাসুদেবপুর পর্যন্ত পদযাত্রায় হাঁটেন যুবক, যুবতী, কৃষক, শ্রমিক থেকে শুরু করে বহু মানুষজন। পদযাত্রার শেষে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়। মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, “প্রকৃতির নিয়মে কুয়াশা এমনি এমনি কেটে যায়, কিন্তু বাংলার তৃণমূলের এই চোর চোট্টাদের কুয়াশা, সেভাবে কাটবে না, এদের খেলে হবে। সে কাজটি আমরা করব।

তৃণমূল নেতারা বলেছিল সিপিএমের লাল ঝাণ্ডার লাল ন্যাকড়াটুকুও দেখতে পাওয়া যাবে না। এই ক’দিন আগেও তৃণমূল সরকারের পরিবহণমন্ত্রী ছিলেন যে শুভেন্দু, তিনি এখন নিজেই পরিবাহিত হয়ে বিজেপিতে। তৃণমূলের নেতারা এখন অনেকেই নেত্রীর মুখ লাগানাে ঝান্ডাকে ন্যাড়া করে বিজেপির পিছন মুছতে লেগেছেন। কিসের জন্য? তারা নাকি দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না। কী কাজ করতেন? তােলাবাজি, বালি চুরি, কয়লা চুরি, ত্রিপল চুরি, শিক্ষক নিয়ােগের টাকা, ডি গ্রুপ নিয়ােগের টাকা এত কমে হচ্ছে না।

ছােট চোরে সঙ্গে থেকে ছােট ছােট চুরি কছিল এখন বড় চোরের দলে ঢুকে বড় বড় চুরি করবে। রাজ্য সরকার মােড়ে মােড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তাদের পিছন আছে পুলিশ দু’চাকা, চার চাকা, দশ চাকা থেকে তােলা তুলছে, ভাইপাে পাশ দেখে দেখে ছাড়ছে। সেই সব লুঠের টাকা, কয়লা চুরির টাকা, বালি পাচারের টাকা এঘাট ওঘাট ঘুরে কালীঘাট হাজির হচ্ছে। তাই লুঠ বন্ধ করতে হলে লুটেরা চিনতে হবে।

বিজেপি সরকার বলেছিল সােনার বাংলা গড়বে, এখন তারা দেশের সবকিছু বেঁচে দিচ্ছে আদানি আম্বানিদের কাছে। মিডিয়া বলছে ওএরা এবার তৃণমূলকে টাইট দেবে, দুর্নীতি বন্ধ হবে। খেলা দেখানাের সময় সাপুড়েরা যেমন বিষদাঁত ভাঙ সাপের ঝাপি নিয়ে হাজির হয়। বাঁশি বাজালেই সাপ ফণা তুলে খেলা দেখাতে শুরু করে। সবাই ভয় পায় কিন্তু কেউ কামড়ায় না। খােলা শেষ হয়ে গেলেই সাপ ঝাপিতে পুরে চলে যায়।

নরেন্দ্র মােদি, অমিত শাহরা তেমনই ভােট এলেই ইডি, সিবিআইয়ের ঝাপি নিয়ে রাজ্যে আসে। সবাই ভাবছে, মােদি মমতাকে, ভাইপােকে এবার । জেলে পুড়বেন। মমতা ঘােষণা করেছিলেন মােদিকে কোমড়ে দড়ি বেধে ঘােরাবেন। খেল খতম পয়সা হজম। ভােট মিটে গেলেই সব গুটিয়ে নিয়ে চলে যায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিডিয়ার সাংবাদিকদের একাংশকেও নিশানা করেন তিনি।

পরিষ্কার ভাষায় বলেন, ‘কিছু কিছু মিডিয়া ভাড়া করা ব্যান্ডপার্টির মতাে। পয়সা দিলেই যেমন বাজাতে বলবে, তেমন বাজাবে। পার্টির লােকেরা ভােলাবাজি, আর বাতেলাবাজি করছে। সেই ভােলাবাজির টাকা নিয়ে মিডিয়া উৎসাহ দিচ্ছে। ধাপ্পা দিয়ে সবকিছু চলছে। ‘এদিনের পথসভা থেকে আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখার কথা বলেন বামপন্থী নেতারা। তাদের মতে, একমাত্র বামেরাই পারে বুকের পাঁজর দিয়ে সােনার বাংলা গড়ে তুলতে। এদিনের সভা থেকে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের বাম সহযােগী দলের সভায় যাওয়ার আহ্বান জানানাে হয় উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে।