সংশােধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফরের সময় শুক্রবার প্রতিবাদে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল মহানগরী কলকাতা। আর এই প্রতিবাদ বিক্ষোভের মাঝে শনিবার রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করেছে বাম কংগ্রেস নেতারা। ১৩ তারিখে এনআরসি বিরােধী আন্দোলন গড়ে তােলার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সােনিয়া গান্ধি। সেই বৈঠকে না গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়টিকে ভালাে চোখে দেখছে না সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতারা।
সিপিএমের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মহম্মদ সেলিম আগে থাকতেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গাে ব্যাক শ্লোগান তােলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। শনিবার প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল হয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে কড়া সমালােচনায় বিধলেন তিনি।
সিপিএম নেতা আরও বলেন, এনআরসি এবং সিএএ’র বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছি। প্রতিবাদ বিক্ষোভের জেরে তিনি আসামে যেতে পারছেন না। বিক্ষোভের আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা পথ পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমরা চাই তিনি এবার মত পরিবর্তন করুন। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর সঙ্গে দ্বিচারিতা করছেন। এর প্রতিবাদ চলবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সিপিএম নেতা।
তিনি জানান, প্রতিবাদ বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশকে জলকামাল। প্রস্তুত রাখতে হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী কটাক্ষের সুরে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কি চাইছেন, সেটা এখন পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎ করতেই পারেন। কিন্তু দিল্লির সভা বয়কট করে তিনি সঠিক কাজ করেননি। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, কংগ্রেস সভানেত্রী সিএএ’র বিরােধীতায় সমস্ত দলকে এককাট্টা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে খুশি করতেই দিল্লির সভা বাতিল করেছেন।