কেপমারিতে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেপমারিতে অভিযুক্তকে ধরতে রাজ্যে গোপনে অভিযান চালাল আগ্রা পুলিশ৷ ট্রানজিট রিমান্ড এড়াতেই এই অভিযান- এমনই দাবি করল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ৷ এভাবে অন্য রাজ্যে এসে গোপনে অভিযান চালানোকে অবৈধ বলছে তারা৷ কিন্ত্ত গোপনে অভিযান চালিয়েও খালি হাতেই ফিরতে হল উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে৷ ওয়ারেন্ট থাকা সত্ত্বেও প্রতারণায় অভিযুক্ত ডাককর্মী মাখনলাল মিনাকে আগ্রায় নিয়ে যেতে পারল না আগ্রা পুলিশ৷ অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে আগ্রা পুলিশের ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন খারিজ করে দিলেন বিচারক৷
মঙ্গলবার কয়েকজন ব্যক্তি গাড়িতে তুলে ডাক কর্মী মাখনলালকে নিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পায় পুলিশ৷ আসানসোলের কন্যাপুরে নাকা চেকিংয়ের সময় গাড়িটিকে আটক করে মাখনলালকে উদ্ধার করা হয়৷ পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তিরা ‘অপহরণকারী’ নন৷ আগ্রা পুলিশের একটি দল এরাজ্যে গোপন অভিযান চালিয়ে মাখনলালকে নিয়ে যাচ্ছিল৷ কিন্ত্ত এই অভিযান সম্পর্কে কোনও তথ্যই আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের কাছে ছিল না৷ পরে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে মাখনলালকে তোলা হলে ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন করে আগ্রা পুলিশ৷ অপরদিকে অভিযুক্তের আইনজীবী অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানায়৷ তাঁর জামিনের আবেদনই মঞ্জুর করে আগ্রা পুলিশের ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক৷ যদিও ১ মাসের মধ্যে অভিযুক্তকে আগ্রা আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ জামিনের পর মাখনলালকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেয় ফরিদপুর ফাঁড়ির পুলিশ৷
আগ্রা পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আগ্রার সাহাগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর প্রিন্স কুমার৷ জানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি আগ্রায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩ কেজি সোনা কেপমারি হয়৷ যার বাজারমূল্য প্রায় সওয়া ২ কোটি টাকা৷ ২৩ মার্চ আগ্রার সাহাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জয়পুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী৷ ওই ব্যবসায়ীর এক কর্মী প্রদীপ সিং প্রায় ৩ কেজি সোনার গয়না কলকাতায় বিক্রি করতে আসছিলেন৷ সোনা বিক্রি না হওয়ায় শিয়ালদহ-আজমেঢ় এক্সপ্রেসে করে জয়পুর ফিরছিলেন তিনি৷ আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ২ ব্যক্তি তাঁর কাছ থেকে ওই সোনা কেপমারি করে বলে অভিযোগ ওঠে৷ তদন্তে নেমে ওই ২ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আগ্রা পুলিশ৷ অভিযুক্তদের জেরা করে দুর্গাপুরের মাখনলালের কথা জানতে পারেন আধিকারিকরা৷ যদিও মাখনলালের দাবি, কেপমারির ঘটনায় তিনি যুক্ত নন৷ ভুল করে তাকে এই ঘটনায় জড়িয়ে ফেলা হয়েছে৷