ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারে মদত দেওয়ার অভিযােগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে ধৃত বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে বুধবার আসানসােলের সিবিআই কাের্টে তােলা হলে বিচারক তার জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়ে পুনরায় দশ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
ভারত – বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক গরু পাচার চক্রের তদন্ত করতে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। হাজার হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি ধরা পড়ে তদন্তকারিদের চোখে। দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় এই চত্রের মুল পান্ডা এনামুল হককে। তাকে হেফাজতে নিয়ে তদন্তকারি আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেশ কিছু সূত্র পাওয়া যায় বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। দিয়েই হাজার কোটি টাকার এই বেআইনি পাচারের কাজ চলে বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারিরা। নাম উঠে আসে বিএসএফ কমান্ডার সতীশ কুমারের। তার বিরুদ্ধে বহু অভিযােগের অন্যতম হল , তিনি সীমান্তের দায়িত্বে থাকাকালীন তার অধীনে থাকা জওয়ানরা প্রায় ২০ হাজার গরু আটক করে। যেগুলি অভিযুক্ত এনামুলের সিন্ডিকেটের লােকেরা পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাচিছল।
অভিযােগ, পরে এই গরুগুলিকেই ঘেট বাচুর দেখিয়ে কম দামে নিলামে এনামুলের সিন্ডিকেটকে কিনতে সাহায্য করেন এই সতীশ কুমার। এরকম বেশ কিছু অভিযােগের তদন্ত করতে নেমে সিবিআই আধিকারিকরা। সতীশ কুমারকে এর আগেও ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালায়। সেই তদন্তে উঠে আসা একাধিক সূত্রে গরু পাচারের সাথে আসানসােলের কয়েকজন ব্যবসায়ীর জড়িত থাকার অভিযােগও উঠেছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। এর পাশাপাশি গরু পাচার চক্রের সাথে এই অঞ্চলের কয়লা পাচারকারিদেরও যােগসূত্র খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। সতীশ কুমারকে সঙ্গে নিয়ে সেসবেরও তদন্ত করতে চায় সিবিআই।
বুধবার আসানসােলের সিবিআই আদালত সতীশ কুমারের জামিনের আবেদন খারিজ করে দশ দিনের হেফাজতে পাঠায়। গরু পাচার চক্রের একটি বড় গ্যাং আসানসােলের রেলপাড় এলাকার কষাই মহা ঝিংরি মহল্লা এলাকায় আছে বলেও খবর। সিবিআই আধিকারিকরা সবদিক খতিয়ে দেখতে তৎপর বলে জানা গেছে। গরু পাচার চক্রের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র যােগ সুত্রেরও হদিশ পেয়েছে তদন্তকারীরা। সে বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে লেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।