কেন্দ্রের হারে ডিএ দিতে রায় স্যাটের

কলকাতা হাইকোর্ট (Photo: iStock)

২০১১ সালের পর থেকে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা থেকে বঞ্চিত এই রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। রাজ্যে পালাবদল হলেও সেই বঞ্চনা ক্রমশ বাড়ছিল। ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের কর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে ডিএ নিয়ে মামলা করা হয়।

স্টেট অ্যাডমিনিসট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল আদালত থেকে কলকাতা হাইকোর্ট আবার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে স্টেট অ্যাডমিনিসট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল আদালত। মাঝে এগারাে মাসের শুনানির পর শুক্রবার দুপুর একটায় স্যাটে ডিএ মামলার নিষ্পত্তি হল।

রায়ে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী কর্মীরা ডিএ পাবেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে ডিএর বর্ধিত অর্থ পাওয়া নিয়ে আইন করতে হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটিকে কার্যকর করতে হবে। সেই সঙ্গে কর্মীদের নগদে কিংবা পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে বকেয়া মহার্ঘভাতা। যষ্ঠ পে কমিশনের রিপাের্ট আগে হলে সেটা আগে কার্যকর করতে হবে। রিপাের্ট না হলে আগামী একবছরের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতে হবে। সর্বভারতীয় ক্রেতা মূল্য মেনে এই নির্দেশ।


এই মুহুর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা ডিএ পান ১৪৭ শতাংশ আর এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা পান একশ শতাংশ। ৪৭ শতাংশ ফারাক রয়েছে বেতন পরিকাঠামােয়। বকেয়া মহার্ঘভাতা এক বছরের মধ্যেই মিটিয়ে দিতে বলেছেন স্যাটের বিচার বিষয়ক বিচারক রঞ্জিত বাগ এবং প্রশাসনিক বিষয়ক বিচারক সুবেশ কুমার দাসের ডিভিশন বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সাল অবধি বিগত বাম সরকার রাজ্য সরকারী কর্মীদের মহার্ঘভাতা মুদ্রাস্থীতির হাতে সামঞ্জস্য রেখে বাড়িয়েছিল। এরপরে তৃণমূল জমানায় রাজ্য সরকারী কর্মীদের মহার্ঘভাতা কেন্দ্রীয় হারে বাড়েনি। তবে দিল্লি ও চেন্নাইতে কর্মরত সরকারি কর্মীদের ডিএ কেন্দ্রীয় অনুপাতে বাড়ছিল।