আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ই ধর্ষক, মিলল ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট

আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই। ফাইল চিত্র।

আর জি কর কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মৃত তরুণী চিকিৎসকের দেহ থেকে উদ্ধার হওয়া সিমেনের সঙ্গে ধৃত সঞ্জয় রায়ের ডিএনএ মিলে গিয়েছে। ফলে ধর্ষক হিসেবে একমাত্র সিভিক ভলান্টিয়ারের নামই উঠে আসছে। ডিএনএ রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট, আর জি কর কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের দাবিই সত্যি প্রমাণিত হতে চলেছে। কারণ ধর্ষিতার শরীরে যে সিমেন উদ্ধার হয়েছে, তার সঙ্গে সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কারও ডিএনএ-র হদিশ মেলেনি বলে সূত্রের খবর।

জানা গিয়েছে, মৃত তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের সময় তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এছাড়া ঘটনার দিন রাতে পরা ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক, সেমিনার রুমের নীল রঙের বিছানার চাদর, লাল রঙের দুইটি কম্বল সহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একগুচ্ছ চুলের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। এইসব নমুনাগুলি ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় বেনিয়াপুকুরের কেন্দ্রীয় ল্যাবে। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবের বিজ্ঞানীরা সেই নমুনাগুলি বিশ্লেষণ করে সঞ্জয় রায়কে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এমনটাই বিশ্বস্ত সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত গত ৯ আগস্ট আর জি কর-এর এই মর্মান্তিক অপরাধের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ধর্ষণস্থল থেকে সংগ্রহ করা নমুনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটারিতে পাঠায় কলকাতা পুলিস। কেন্দ্রীয় এই ল্যাবরেটরিটি বেনিয়াপুকুরে অবস্থিত। গত ১৩ আগস্ট আর জি কর-এর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তভার নিয়ে কলকাতা পুলিশের ওপর চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। ফলে তাঁদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর কাছে ন্যস্ত করে উচ্চ আদালত। তখনই চাপে পড়ে যায় কলকাতা পুলিশ। লালবাজার এরপর কেন্দ্রীয় ল্যাবের দ্বারস্থ হয় বলে সূত্রের খবর। তখন ল্যাবের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই এই ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়া যাবে। সেই মতো সেন্ট্রাল ল্যাব ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট কলকাতা পুলিশের সম্মতিতে সিবিআই-কে হস্তান্তর করেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে এই ধর্ষণের ঘটনায় সঞ্জয় রায়ের ভূমিকাই মুখ্য হয়ে উঠেছে।