জেলে একাকীত্বে ভুগছেন আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়, সাধারণ ওয়ার্ডে পাঠানোর আবেদন জানিয়ে দাবি আইনজীবীর

আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানালেন অভিযুক্তের আইনজীবী। শুক্রবার তাকে ভার্চুয়ালি শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়। শুনানি চলাকালীন অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেন, তার মক্কেল জেলে একাকিত্বে ভুগছেন।

উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যালে কলেজে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র সঞ্জয় রাই প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছে। এরকম একটি গুরুতর ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে জেলের মধ্যেই আলাদা একটি সেলে রাখা হয়েছে। শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে শুনানি চলাকালীন ধৃতের আইনজীবী আবেদন করেন, তাঁর মক্কেলকে যেন সাধারণ ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।

স্বাভাবিকভাবেই এই আবেদন কেন করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। তাঁর প্রশ্ন, আরজি কর মামলার মতো গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে মূল অভিযুক্তকে কেন সাধারণ ওয়ার্ডে পাঠানো হবে ? তখন আইনজীবী জানান, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র একাকীত্বে ভুগছেন। তিনি মানসিকভাবে চাপ অনুভব করছেন। সাধারণ ওয়ার্ডে অন্য বন্দিদের সঙ্গে থাকলে তার মানসিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশাবাদী তার আইনজীবী।


গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগে সেদিন রাতেই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে সিবিআই ধর্ষণ–খুনের মামলার তদন্ত করছে। এরপরই অভিযুক্তকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের আইনজীবী প্রথম থেকেই আদালতে দাবি করে আসছিলেন যে তাঁর মক্কেল নির্দোষ। সেমিনার রুমে যখন সঞ্জয় ঢুকেছিল তখন তরুণী চিকিৎসকের দেহ সেখানেই পড়েছিল বলে দাবি করেন তার আইনজীবী। এসব বিষয়ে সওয়াল করে একাধিকবার সঞ্জয়ের জামিনের আবেদনও হয়েছে। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।