• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

এখনও থমথমে সন্দেশখালি

সন্দেশখালি দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বােমা, গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতি। পাশাপাশি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন এসআই অরিন্দম হালদার।

প্রতিকি ছবি (File Photo: IANS)

সন্দেশখালি দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বােমা, গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতি। পাশাপাশি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন এসআই অরিন্দম হালদার ও সিভিক ভলান্টিয়ার বাবুসােনা সিংহ। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও এক গ্রামবাসী।

শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্বজিৎ মাইতির মৃত্যুর খবর আসার পর এলাকায় নেমে এসেছে শােকের ছায়া। এলাকায় ছােটবেলা থেকে ভালাে ছেলে হিসেবে পরিচিত পরােপকারী ছেলেটি যে এভাবে মারা যাবে তা ভাবতে পারেনি কেউই। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে শােকাহত হয়ে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বিশ্বজিতের মা প্রতিমা মাইতি।

বাবা গৌর মাইতি কান্নামাখা গলায় বলেন, শুক্রবার রাতে খেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন বিশ্বজিৎ। এরপর তাঁর ফোনে থানা থেকে ফোন আসে। মেজোবাবু অর্থাৎ এসআই অরিন্দম হালদার তাঁকে ফোন করেন এবং ডেকে নেন। ফোন পাওয়মাত্রই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বিশ্বজিৎ যখন রজনীঘাট এলাকায় পৌঁছন, তখন নদীর ওপাড়ে জলসায় গণ্ডগােল চলছিল। পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন দুষ্কৃতীরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ও বােমা ছুঁড়তে থাকে। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বজিতের হাতে, বুকে ও পেটে গুলি লাগে। আহত হন এসআই অরিন্দম হালদার, সিভিক ভলেন্টিয়ার বাবুসােনা সিংহ সহ গ্রামবাসী।

আহত অবস্থায় অরিন্দম হালদার ও বাবুসােনা সিংহ সেই স্থান থেকে সরে যেতে সক্ষম হলেও বিশ্বজিৎ তা পারেনি। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই স্থানেই পড়ে যায় সে। খবর পেয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে বলে জানান এলাকাবাসী। বাবা গৌর মাইতির আক্ষেপ, যদি কিছু সময় আগে তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করা যেত, তবে হয়তাে তাঁর ছেলে প্রাণে বেঁচে যেত। যদিও কর্তব্য রক্ষায় ছেলে প্রাণ দিয়েছে, এর জন্য তাঁর গর্বও হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সন্দেশখালির এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে চাপান-উতাের শুরু হয়েছে। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া কেদার সর্দারের মা বলেন, তাঁর ছেলে গুলি চালায়নি। যদিও একজন মা সন্তানহারা হয়েছে, তার দুঃখ-কষ্ট তিনি অনুভব করছেন।

অন্যদিকে এদিনও এলাকায় পুলিশি টহলদারি চলছে। বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।