অনৈতিকভাবে আরজি করের  কমপ্লেন্টস কমিটিতে সন্দীপ

ফের আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ। প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিকভাবে আরজি কর মেডিক্যালের ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটি (আইসিসি)–র সদস্য হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। ২০২১ সালে এই কমিটি তৈরি করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, কর্মক্ষেত্রে যৌন নির্যাতন এবং বৈষম্যের কোনও অভিযোগ থাকলে আইসিসি সেগুলি তদন্ত করত বলে জানা গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, এই কমিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় হাসপাতালের সিনিয়র মহিলা চিকিৎসককে। এছাড়াও নিয়মে বলা হয়েছে, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট এবং ভাইস প্রিন্সিপাল (এমএসভিপি)–কে এই কমিটির সদস্য করা যাবে না। কিন্তু এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২১ সালে গঠিত হাসপাতালের সর্বশেষ আইসিসি–তে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ ছিলেন।

২০২১ সালে গঠিত এই কমিটিতে ১৪ জন সদস্য ছিলেন। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের মহিলা চিকিৎসক। এই ১৪ জন সদস্যদের মধ্যে সন্দীপ ও সঞ্জয় বশিষ্ঠের পাশাপাশি সন্দীপের স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।


কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, যারা সন্দীপের প্রিয় পাত্র ছিলেন না বেঁছে বেঁছে তাঁদের নোটিশ পাঠাতো আইসিসি। সেই সব নোটিশের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যৌন নির্যাতনের মিথ্যা মামলায় তাঁদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হত বলেও অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, এত বড় নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ চলার পরেও স্বাস্থ্য দপ্তর বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চতুর্থ তলার সেমিনার রুম থেকে এক তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এই ঘটনায় খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়রকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতার হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। সম্প্রতি এই মামলায় আরজি কর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  মঙ্গলবার ফের তাঁদের ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত প্রক্রিয়াকে বিপথে চালনা করা সহ, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।