• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

‘চিকিৎসক’ পরিচয় হারালেন সন্দীপ ঘোষ, সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হল। এর ফলে 'চিকিৎসক' আর থাকলেন না সন্দীপ ঘোষ।  স্বাস্থ্য ভবনের তরফে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে। তারপর তাঁকে মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে শো কজ করা হয়। ১৩ দিন পরও উত্তর না পাওয়ায় তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল  মেডিক্যাল কাউন্সিল।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হল। এর ফলে ‘চিকিৎসক’ আর থাকলেন না সন্দীপ ঘোষ।  স্বাস্থ্য ভবনের তরফে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে। তারপর তাঁকে মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে শো কজ করা হয়। ১৩ দিন পরও উত্তর না পাওয়ায় তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল  মেডিক্যাল কাউন্সিল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। তার আগে তিনি আরজি করের দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সিবিআই হেফাজত ও জেল হেফাজতে ছিলেন। 

 
‘চিকিৎসক’ পরিচয় হারিয়ে ফেললেন সন্দীপ ঘোষ। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল বৃহস্পতিবার।। বুধবারই বৈঠকে বসেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিশেষ সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার সেই সিদ্ধান্তই সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে।এরপর আর চিকিৎসা করার অধিকার রইল না সন্দীপ ঘোষের। 
 
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন  আগেই সন্দীপ ঘোষের সদস্যপদ বাতিল করেছিল। তাঁকে সাসপেন্ডও করে আইএমএ। কিন্তু রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করায় ক্ষোভ ছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে। গত ৬  সেপ্টেম্বর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে তাঁকে  শো-কজ করা হয়েছিল। তিনদিনের মধ্যে উত্তর না দিলে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে সে কোথাও জানানো হয়েছিল।  কিন্তু সন্দীপ ঘোষের তরফে তার কোনও উত্তর মেলেনি। এরপর বৃহস্পতিবার তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয় বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে।  শো-কজ নোটিসের ১৩ দিন পরও কোনও জবাব না মেলায় এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে কারণ দর্শানো হয়েছে।  
 
আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা প্রথম থেকেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে শাস্তির পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে আসছিল। এরপর দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।  এরপর ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। সেই সময় থেকেই সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি সোচ্চার হন সিনিয়র চিকিৎসকেরাও।  সন্দীপ ঘোষ শো-কজের জবাব না দেওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলেছিল আইএমএ। এরপরই বুধবার বৈঠক হয়, এবং বৃহস্পতিবার তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।    
 
জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে কোনো এত সময় নেওয়া হল ? তবে তাঁদের প্রতিক্রিয়া শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। তবে সিনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, গোটা মেডিক্যাল কাউন্সিলকেই ভাঙতে হবে।  সেই দাবিতে বৃহস্পতিবার মিছিল করেন তাঁরা।