• facebook
  • twitter
Sunday, 6 October, 2024

আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’ আশিস পাণ্ডে

আর্থিক দুর্নীতির মামলাটিও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তাই আরজি কর মেডিক্যালের ধর্ষণ–খুনের মামলার পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক অনিয়মের মামলায় আরও এক জনকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। ধৃতের নাম আশিস পাণ্ডে। তিনি সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
এর আগে সিবিআইয়ের দপ্তরে ডেকে আশিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এরপর বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল। সিবিআই মারফত জানা গিয়েছে, আশিস পাণ্ডে তৃণমূলের যুব নেতা।

উল্লেখ্য, এর আগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক অনিয়মের ঘটনায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। সন্দীপের পাশাপাশি আরও ৩ জনকে সেই সময় গ্রেপ্তার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার এই মামলায় আশিসকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। অর্থাৎ এই মামলায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে বিভ্রান্তি তৈরি ও দুর্নীতির অভিযোগে আশিসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন তদন্ত প্রক্রিয়াকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরজি করের দুর্নীতিতেও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর আশিসের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আরজি করে থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগও রয়েছে।

আরজি কর মেডিক্যালে থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালে এই মামলার শুনানি চলছিল। সেই শুনানিতে উপস্থিত হয়েছিলেন আশিস পাণ্ডে। সেখান থেকে বেরোতেই জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এবার সেই আশিসকেই হাসপাতালের দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার করল সিবিআই।

উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যালের সেমিনার রুমে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছিল সিবিআই। এই একই হাসপাতালে বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তের সুবিধার্থে আর্থিক দুর্নীতির মামলাটিও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তাই আরজি কর মেডিক্যালের ধর্ষণ–খুনের মামলার পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই এই মামলায় একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন মোট পাঁচ জন।