নিজস্ব প্রতিনিধি: তরুণীকে মৃত ভেবে পুরে ফেলা হয়েছিল বস্তায়। তারপর সেলাই করা হয়েছিল বস্তার মুখ। প্রমাণ লোপাট করতে বস্তাবন্দি তরুণীকে ফেলা হয়েছিল রিজেন্টপার্ক থানার শান্তিনগর খালে। অবশেষে সপ্তাহ পেরিয়ে তরুণীর পরিচয় জানল পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, বস্তাবন্দি উদ্ধার হওয়া দেহটি এক নাবালিকার। মৃত নাবালিকা সরশুনা এলাকার বাসিন্দা বলেই জানাচ্ছেন লালবাজার। লিভ-ইন সম্পর্কে জড়িয়েছিল ওই নাবালিকা। তবে নাবালিকার লিভ-ইন সঙ্গীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেলে রিজেন্টপার্ক থানার শান্তিনগর খালের ধারে এক সন্দেহজনক বস্তা দেখতে পান স্থানীয়রা। বস্তার মুখ সেলাই করা থাকলেও বেরিয়ে ছিল এক মহিলার চুল। খবর দেওয়া হয় থানায়। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। নাবালিকার দেহে মিলেছে অসংখ্য ছিদ্র। যা দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মাদক সেবন করত ওই নাবালিকা। সেদিন রাতেও মাদক নিয়েছিল নাবালিকা। যার ফলে অচৈতন্য হয়ে পড়ে সে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে দেহ বস্তাবন্দি করে ফেলা হয় খালে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ খালে ফেলতে ব্যবহার করা হয়েছিল গাড়ি। হরিদেবপুর এমজি রোড ধরে সেই গাড়ি গিয়েছিল শান্তিনগর খালের ধারে।সেই ফুটেজ ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। তবে খুনের পেছনে নাবালিকার সঙ্গীর কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।