• facebook
  • twitter
Thursday, 3 October, 2024

বাঁশদ্রোণী থানায় ধর্না দিয়ে গ্রেপ্তার রূপা গাঙ্গুলি

বাঁশদ্রোণী থানায় লাগাতার ধর্না চালিয়ে যাওয়ায় বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলিকে গ্রেপ্তার পুলিশের

বাঁশদ্রোণী থানায় লাগাতার ধর্না চালিয়ে যাওয়ায় বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলিকে গ্রেপ্তার পুলিশের। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধর্নার পর বাঁশদ্রোণী থানা থেকে রূপা গাঙ্গুলিকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। গ্রেপ্তার করে রূপা গাঙ্গুলিকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, জানাল বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বুধবার রাত ৮টা থেকে ধর্নায় বসেন রূপা গাঙ্গুলি। সকাল ১০টা নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় রূপা গাঙ্গুলিকে। শান্তিপূর্ণ ধর্না চালানোর পরও কেন রূপা গাঙ্গুলিকে গ্রেপ্তার করা হল প্রশ্ন বিজেপির।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর রূপা গাঙ্গুলি বলেন, ‘আমি রাতে বাথরুমে যাব বলেছিলাম, কিন্তু যেতে দেওয়া হয়নি। চরম অমানবিকতা।’

বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় নবম শ্রেণির পড়ুয়ার। রাতভর থানায় বসে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি। পুলিশের বিরুদ্ধে রীতিমতো গর্জে ওঠেন রূপা গাঙ্গুলি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের পালাতে সাহায্য করেছে পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ রূপা গাঙ্গুলির। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা হলে থানায় বসে থাকবেন বলেই জানিয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি। পুলিশকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠছে। বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডল-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাঁশদ্রোণী থানায় রূপা গাঙ্গুলির নেতৃত্বে চলে বিক্ষোভ।

প্রসঙ্গত, বুধবার মহালয়ার দিন সকালে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই নবম শ্রেণির ছাত্রের। কোচিং সেন্টারে যাওয়ার সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা। রাস্তা মেরামতির কাজ চলছিল। দুর্ঘটনার জন্য বেহাল রাস্তাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুর্ঘটনার একদিন পরেও ধরা পড়েনি পে লোডারের চালক।

রূপা গাঙ্গুলির কথায়, ‘পুলিশকে বাঁচাতে পথে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী। পে লোডারের চালককে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের কবে গ্রেপ্তার করা হবে সেই বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও আশ্বাস মেলেনি। আইন আইনের পথে চলবে জানাচ্ছে পুলিশ।’

দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা শুনে আমাদের সকলের মন খারাপ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে যদি কেউ বা কারা গণ্ডগোল করতে চায়, প্ররোচনা দিতে চাইছে। একটা অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করতে চায়। সেটা সাধারণ মানুষ পছন্দ করেন না। বাকিটা পুলিশ প্রশাসন সবাই দেখছেন। কিন্তু আবার অনেকে বসে আছেন শকুনের মতো দুর্ঘটনা ঘটলে সেটা নিয়ে কীভাবে কতটা অশান্তি করা যায়। এটা প্রশাসনিক বিষয়। বাকি পুলিশ প্রশাসন এলাকার মানুষ দেখছেন।’

পড়ুয়ার মৃত্যুর পর থেকে এলাকায় দেখা যায়নি কাউন্সিলরকে। তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ স্থানীয়দের। বুধবার পাটুলি থানার ওসিকে ঘিরে হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষালের সামনেও দেখানো হয় বিক্ষোভ।