• facebook
  • twitter
Thursday, 3 October, 2024

পুলিশি কাজে বাধা, সকালে গ্রেপ্তার বিকেলে জামিন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের

কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করার দাবিতে চলতে থাকে বিক্ষোভ। পরে অবশ্য পুলিশকর্তাদের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।

সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। আর বিকেলে তাঁকে এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিল আলিপুর আদালত। তারপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, তাঁকে গ্রেপ্তার করে ‘ভুল’ করেছে পুলিশ।

বুধবার রাত আটটা থেকে বাঁশদ্রোণী থানার সামনে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার দাবি নিয়ে ধরনা দিচ্ছিলেন রাজ্য সভার প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘ চোদ্দো ঘণ্টা ধরনা দেওয়ার পর পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে বাঁশদ্রোণী থানা থেকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে আসা হয় লালবাজারের সেন্ট্রাল লক আপে। দুপুরে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয় রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদকে।

এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। সেখান থেকেই কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে ভুল করেছে’। যদিও বিজেপি নেত্রী পুলিশের কাজে বাধা দিচ্ছিলেন বলেই দাবি কলকাতার নগরপাল মনোজকুমার ভার্মার।

এদিন সকালে পুজো মণ্ডপের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নগরপাল বলেন, ‘বুধবার রাত থেকে তিনি থানায় ধরনা দিচ্ছিলেন। দাবি ছিল, যাঁদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাঁদের ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু আইন মেনে কাজ হবে। তারপরে তিনি ধরনা দিতে শুরু করেন। যার ফলে কাজে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই তাঁকে আটক করা হয়েছে’।

পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নস্যাৎ করে রূপা বলেন, ‘ আমি নাকি ওদের কাজে বাধা দিয়েছি। কিন্তু আমি তো কিছুই করিনি। থানার সামনে ধরনায় বসেছিলাম। আমাকে গ্রেপ্তার করে ভুল করেছে। উচিত কাজ করেনি পুলিশ’।  অন্যদিকে কিশোর পড়ুয়াকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার বিকেলে দমদম থেকে পে-লোডারের পলাতক চালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, চলছে তার জিজ্ঞাসাবাদ। একই সঙ্গে পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশকে মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচটি মামলা রুজু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার মহালয়ার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে টিউশন পড়তে যাওয়ার পথে পে-লোডারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা বছর পনেরোর সৌম্য শীলের। সকাল সাতটার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় সমগ্র বাঁশদ্রোণী এলাকা জুড়ে। হেনস্থা করা হয় পুলিশকেও। একই সঙ্গে কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করার দাবিতে চলতে থাকে বিক্ষোভ। পরে অবশ্য পুলিশকর্তাদের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।