সুন্দরবনে তৈরি হচ্ছে ‘রোরো’ সার্ভিস, যেতে পারবে বড় গাড়ি, বাড়বে পর্যটনও 

দেবাশিস দাস:  সুন্দরবনে ছড়িয়ে আছে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এইসব দ্বীপের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। আর সেই কারণেই চালু হতে যাচ্ছে  ‘রোরো’ সার্ভিস। আপাতত আটটি জেটি তৈরি হচ্ছে।

সুন্দরবনের মধ্যে এই দ্বীপগুলি চারদিকে জল দিয়ে ঘেরা। তার মধ্যেই মানুষের যে জীবনযাত্রা, তা বেশ কঠিন। মূল ভূখণ্ডে আসা-যাওয়া করাটাও খুব সহজ নয়। তাই সরকার উদ্যোগ নিয়েছে এইসব দ্বীপে রোরো পরিষেবা চালু করতে। এখনও পর্যন্ত এসব এলাকায় ভটভটি, নৌকাই মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পরিবহন। রোরো পরিষেবা চালু হয়ে গেলে গাড়ি, লরি, বাস সব ধরনের গাড়ি সরাসরি যেতে পারবে দ্বীপগুলিতে। যেতে পারবে অ্যাম্বুলেন্স। তাতে খুবই উপকৃত হবেন সেখানকার মানুষেরা। সেই সঙ্গে সুবিধা হবে পর্যটকদেরও। যাঁরা গাড়ি নিয়ে দ্বীপগুলিতে বেড়াতে যেতে চান, সুবিধা হবে তাঁদেরও।

রাজ্য সরকারের তরফে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সম্প্রতি পাথর প্রতিমা এবং গোসাবার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। সুন্দরবন এলাকার জলযান পরিষেবাকে উন্নত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহন মন্ত্রী জানালেন, রোরো সার্ভিসের জন্য যে জেটিগুলি তৈরি হচ্ছে, সেই জেটির সঙ্গে দেওয়া হবে রোরো ভেসেল। এই ভেসেলে করে সব গাড়ি পৌঁছে যাবে দ্বীপগুলিতে। সেই সঙ্গে ব্যবস্থা থাকবে ওয়েটিং রুম এবং টয়লেটের।


এই পরিষেবাকে রোল অন রোল অফ বা রোরো সার্ভিস বলা হয়। পরিবেশগত কারণে এইসব দ্বীপগুলিতে কংক্রিটের সেতু তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই রোরো সার্ভিস চালু হলে খুব সহজেই বড় গাড়িও দ্বীপগুলিতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। গত বছরই রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, এই প্রকল্পের জন্য ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

এই পরিষেবার ফলে পর্যটন শিল্পেরও উন্নতি হবে, জানালেন পরিবহনমন্ত্রী। সব মিলিয়ে আর্থসামাজিক দিক থেকেও উন্নতি ঘটবে এইসব এলাকার। জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারেও চালু হচ্ছে এই রোরো পরিষেবা।