মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণের অভিযোগে জনপ্রিয় ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে মঙ্গলবার গোয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে কিংবা ইউটিউব ভিডিও করে বিতর্ক তৈরি করেন রোদ্দুর। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন তিনি। দেড় ঘণ্টার সেই লাইভে একাধিক বিষয়ে কথা বলেন।
নিজস্ব ভঙ্গিতেই আক্রমণ করেন বিভিন্ন বিশিষ্টজনকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
লাইভে মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায়। অশ্রাব্য শব্দ প্রয়োগ করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সারাধণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও।
যার জেরে গত ৩ জুন রোদ্দুরের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় এফআইআর করেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত।
এফআইআরে অভিযোগকারী জানিয়েছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন রোদ্দুর রায় সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা। পুলিশের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
সেই মতোই লালবাজার থেকে একটি দল পৌঁছায় গোয়ায়। আর এদিন তাঁকে গ্রেপ্তার করেন লালবাজারের পুলিশ আধিকারিকরা।
কলকাতায় তাঁকে আনা হবে বলে খবর সেই সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য সম্পত্তির পরিমাণও।
গত মাসে রাজ্য সরকারের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া নিয়েও কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন এই ইউটিউবার।
মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানহানির দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে পাটুলি থানায় সেবার এফআইআর দায়ের করেছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য অরিত্র সাহা।
তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রীকেই নয়, এর আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও কটূক্তি করতে ছাড়েননি রোদ্দুর রায়। তাঁর অশালীন ভাষার প্রয়োগ বারবারই সমালোচিত হয়েছে।
এবার লিখিত অভিযোগের গ্রেফতারই করা হল। ভিত্তিতে তাঁকে যদিও তাঁর এই গ্রেফতারে বিরোধিতায় সরব হয়েছে এপিডিআর। নেতাদের সিংহভাগ অংশ তাঁর গ্রেফতারিকে সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপি।