আরজি করের গ্লাভসের লাল দাগ রক্তের নয়, জানাল কর্তৃপক্ষ

সম্প্রতি আরজি করে ‘রক্তমাখা গ্লাভস’ ইস্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, গ্লাভসের লাল দাগ রক্তের নয়। বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ল্যাবে এই গ্লাভসের পরীক্ষা হয়েছিল। রিপোর্ট সামনে আসতেই জানা গিয়েছে, গ্লাভসে লেগে থাকা লাল দাগ রক্তের নয়। তবে সেটি কীসের দাগ তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ট্রমা সেন্টারের গ্লাভসের লাল দাগ রক্তের নয়। বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাবের পরীক্ষাতে এই প্রমাণ মিলেছে। লাল দাগগুলি কীসের, তা জানতে গ্লাভসটি ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে।’
সম্প্রতি আরজি করের ইন্টার্ন দেবারুণ সরকার এক রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে গ্লাভসের মধ্যে রক্তের দাগের মতো একটি দাগ দেখতে পান। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে একজন এইচআইভি রোগী এসেছিলেন। তাঁর রক্ত নেওয়ার জন্য আমি গ্লাভস চেয়েছিলাম। প্রথমবার প্যাকেট থেকে যে গ্লাভসটা বের করি সেটাই ছিল নোংরা। ভেবেছিলাম, কেউ রাতে কাজ করে ভুলবশত নতুন গ্লাভসের সঙ্গে সেটি রেখে দিয়েছেন। এরপর ওই গ্লাভসটি ফেলে অন্য একটি গ্লাভস নিই। কিন্তু তাতেও দেখি রক্তমাখা। ওই প্যাকেটের প্রায় সব গ্লাভসেই একই সমস্যা রয়েছে।’
এই ঘটনা যখন প্রকাশ্যে আসে তখন ধর্মতলায় অনশনে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা অভিযোগ করেন, আগেও আরজি করে এরকম অপরিষ্কার গ্লাভসের জোগান দেওয়া হত। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হত না। এই সব গ্লাভস পরে রোগীদের চিকিৎসা করা হলে সংক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অভিযোগ সামনে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই জানা গেল, গ্লাভসের লাল দাগ রক্তের নয়।
আরজি করে গ্লাভস নিয়ে বিতর্কে পর সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে অপারেশন চলার সময় কাঁচি ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই রোগীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। অভিযোগ উঠেছে, কাঁচিটিতে মরচে ধরেছিল। এই কারণে অপারেশনের সময় সেটি ভেঙে যায়। সেই ভাঙা কাঁচির ছবি সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন চিকিৎসক রশ্মি চট্টোপাধ্যায়।