পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ, প্রতিবাদীদের সাহায্যে লিগ্যাল সেল সিপিআইএমের

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মানুষ। আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মহিলারা। অনেক জায়গায় তাঁদের হেনস্থার শিকারও হতে হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে হেনস্থা করার অভিযোগ। এবার সেই মহিলা প্রতিবাদীদের আইনি সাহায্য প্রদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গে লিগ্যাল সেল তৈরি করল সিপিআইএম নেতৃত্ব।

সিপিআইএম–এর পলিটব্যুরোর সদস্য এবং রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মহিলা প্রতিবাদীদের হেনস্থা করছে পুলিশ। এবিষয়ে নেতৃত্বের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে ‘মেয়েরা রাত দখল করো’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেই রাতে রাস্তায় নেমেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সেদিন থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত তরুণী চিকিৎসককে খুনের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন নাগরিক। এই আন্দোলনে মহিলাদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এই মহিলা প্রতিবাদীদের মধ্যে অনেকে আবার পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন।

মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য বহু মহিলা প্রতিবাদীকে হেনস্থা করেছে পুলিশ। এরকম অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। অনেককে তো আবার স্থানীয় থানায় ডেকেও পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা প্রতিবাদী মহিলাদের হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছেন।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, এই সকল প্রতিবাদী মহিলাদের আইনি সাহায্য দিতে স্পেশাল লিগ্যাল সেল তৈরি করা হয়েছে। এই সেলে শুধুমাত্র মহিলা আইনজীবীরাই থাকবেন।


সেলিম আরও বলেন, ‘কোনও মহিলা প্রতিবাদীকে বিনা কারণে থানায় ডেকে পাঠানো হলে তাঁকে আমরা একা না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। তিনি যেন লিগ্যাল সেলের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’ পাশাপাশি পানিহানির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করার দাবি জানান সেলিম।

উল্লেখ্য, সোমবারই নির্মল ঘোষকে ৭ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই আধিকারিকরা। আরজি কর মেডিক্যালে মৃত তরুণীর বাড়ি নির্মলের বিধানসভা এলাকার মধ্যেই পড়ে। ৯ আগস্ট হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধারের দিন নির্মলকে হাসপাতালে দেখা গিয়েছিল। এরপর তরুণীর দেহ দাহ করার সময় পানিহানির শ্মশানঘাটেও তিনি উপস্থিত ছিলেন।