• facebook
  • twitter
Wednesday, 18 December, 2024

চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই, আরজি কর মামলায় জামিন সন্দীপ-অভিজিতের

২০০০ টাকার বন্ড সই করে জামিন মিলেছে তাঁদের।

আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। নিজস্ব গ্রাফিক্স।

অবশেষে জামিন পেলেন আরজি কর কাণ্ডের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। সিবিআই হেপাজতে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু সিবিআই চার্জশিট দিতে পারেনি। ফলে শুক্রবার জামিন দেওয়া হল এই দুই অভিযুক্তকে।

সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালে ঘটা খুন-ধর্ষণের ঘটনার শুনানি ছিল। সেই শুনানি চলাকালীনই সিবিআই জানায়, সন্দীপ এবং অভিজিতের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করছে না তারা, কারণ চার্জশিট পেশ করার যে নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল, তা পেরিয়ে গিয়েছে। আদালত যাতে আইনানুগ সিদ্ধান্ত নেয়, সেই আবেদন করা হয় সিবিআইয়ের তরফে। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তদন্তকারী অফিসার জানান, মামলার তদন্ত চলছে বলে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করছেন না তাঁরা। সেই প্রেক্ষিতেই সন্দীপ এবং অভিজিতের আইনজীবী জানান, ৯০ দিনেরও বেশিদিন ধরে হেপাজতে রাখা হয়েছে তাঁর মক্কেলদের। অতএব, তাঁদের যেন জামিন দেওয়া হয়। এর পরেই সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন ওই ২ অভিযুক্তের। ২০০০ টাকার বন্ড সই করে জামিন মিলেছে তাঁদের।

অভিজিতের আইনজীবী মহম্মদ সাজিদের বক্তব্য, ‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে এখনও কোনও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। গ্রেফতারির পরে ৯০ দিন হয়ে গিয়েছে, সিবিআই চার্জশিট দেয়নি। সিবিআই বার বার বলছে, এখনও তদন্ত চলছে। তার অর্থ, আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি।’ অভিজিৎ শুক্রবারই জেল হেপাজত থেকে বেরিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সন্দীপকে দুটো পৃথক ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল – আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর আমলে চলা আর্থিক দুর্নীতি এবং আরজি করেই গত ৯ আগস্ট ঘটা এক স্নাতকোত্তর ট্রেনি চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড। প্রথমে সন্দীপকে সিবিআই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করে। তারপরে আরজি কর খুন-ধর্ষণের মামলায় প্রমাণ লোপাট, দেরিতে অভিযোগ দায়ের করা -সহ একাধিক অভিযোগে ফের গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। দ্বিতীয় মামলায় গ্রেপ্তার হন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও। আজ জামিন পেলেন তাঁরা। তবে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এখনো সন্দীপকে জামিন দেওয়া হয়নি, তাই তিনি এক্ষুণি মুক্তি পাবেন না। কিন্তু অভিজিতের নামে যেহেতু কোনও মামলা নেই, তাই তিনি মুক্তি পাবেন। তবে তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে যখনই ডাকা হবে, তাঁকে হাজিরা দিতে হবে তখনই।