• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

আরজিকর মামলা: কলকাতার বিশেষ আদালতে আজ থেকে শুরু বিচার প্রক্রিয়া

চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। সেই চার্জশিটে সঞ্জয় রায়কে ধর্ষণ ও হত্যা অপরাধের "একমাত্র প্রধান অভিযুক্ত" হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। ফাইল চিত্র

আজ, সোমবারে আরজিকর-এর মহিলা জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার বিচার শুরু হতে চলেছে। একটি বিশেষ আদালত চলবে এই বিচার। এই মামলায় “একমাত্র প্রধান অভিযুক্ত”, সিভিক পুলিশ সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়াটি ৪ নভেম্বর শেষ হয়েছিল। সোমবার বিচার প্রক্রিয়া শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেইমতো আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া।

এই বিচার প্রক্রিয়াটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। সেজন্য প্রায় প্রতিদিনই চলবে বিচার ও শুনানি প্রক্রিয়া। ফলে গত ৯ আগস্ট আর জি কররের মহিলা জুনিয়র ডাক্তারের মৃতদেহ উদ্ধারের ৯৪ দিনের মাথায় এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। এর আগে এই মামলায় সিবিআই চার্জশিট পেশ করে। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ৩৫ দিন আগে এই বিষয়ে প্রথম চার্জশিট দাখিল করেছিল। সেই চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। সেই চার্জশিটে সঞ্জয় রায়কে ধর্ষণ ও হত্যা অপরাধের “একমাত্র প্রধান অভিযুক্ত” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্টে একটি মৌখিক আবেদনের ভিত্তিতে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। যাতে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়াটি পশ্চিমবঙ্গের বাইরের যে কোনও আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু আবেদনটি ভারতের বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রত্যাখ্যান করেন।

গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বিচারটি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে স্থানান্তরিত করার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় থাকলে এই মামলায় কখনও ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না।

এদিকে এই মামলার প্রথম চার্জশিট পেশ করে সঞ্জয় রায়কে প্রধান দোষী সাব্যস্ত করতেই মুখ খোলে সে। সে দাবি করে, সে ধর্ষণ বা হত্যা করেনি, সরকার তাকে মিথ্যাভাবে জড়িয়ে দিয়েছে।

সে কলকাতা পুলিশের দিকে আঙুল তুলে দাবি করে, একজন সিভিকের কাজে যুক্ত ছিল। ঘটনার পর তার নিজের বিভাগীয় সহকর্মীরা তাকে এই বিষয়ে নীরব থাকার হুমকি দিয়েছিল।